এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষদের সমাগম ঘটে। নাচ, গান, আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে তুলসী বিবাহের ফলে মানুষের জীবনে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।পুরুলিয়ার রাজঘুরিয়া ধর্মশালায় আয়োজিত তুলসী বিবাহের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহেশ্বরী মহিলা সমিতির সভাপতি সুস্মিতা মহান, সম্পাদক রেনু মুন্দ্রা, চেয়ারম্যান ময়না মহোতা ও জয়শ্রী সারদা সহ বহু বিশিষ্টজনেরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের শুরুতেই সুরুলিয়া মিনি জু-তে পর্যটকদের ভিড়
হিন্দু ধর্মপুরাণ অনুসারে তুলসী বিবাহের একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। একদা জলন্ধর অসুরকে পরাস্ত করতে ভগবান বিষ্ণু কৌশল করে জলন্ধর অসুরের রূপ ধারণ করেছিলেন। ভগবান বিষ্ণুর এই কৌশলে ফলে জলন্ধর অসুর পরাস্ত হন। জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দা ভগবান বিষ্ণুর এই ক্রিয়ায় ক্রুব্ধ হয়ে তাকে অভিশাপ দেন। যার ফলে ভগবান বিষ্ণু পাথরে রূপান্তরিত হন। বিষ্ণু এইরূপ শালগ্রাম নামে প্রচলিত আছে। ভগবান বিষ্ণু পাথরে পরিণত হওয়ার পর মাতা লক্ষ্মী বৃন্দার সামনে প্রার্থনা শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ আজও পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেছে নাচনীরা
মাতা লক্ষ্মীর অনুরোধে, বৃন্দা ভগবান বিষ্ণুকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করে, স্বামীর জলন্ধরের মাথা নিয়ে সতী হয়ে যান। বৃন্দা সতী হওয়ার পরে, তাঁর ছাই থেকে একটি উদ্ভিদের জন্ম হয়। ভগবান বিষ্ণু সেই উদ্ভিদের নামকরণ করেন 'তুলসী'। এরপর ভগবান বিষ্ণুর শালগ্রাম রূপের সঙ্গে তুলসীর বিবাহ হয়। এই দিন থেকেই শালগ্রামের সঙ্গে তুলসী পূজা করা শুরু হয়।
Sarmistha Banerjee Bairagi