মূলত বহু মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে নানান সমস্যা নিয়ে আদালতের চক্কর কাটছেন তাদের কিছুটা সুরাহা দিতে এই লোক আদালতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতে জারি হওয়া বেশ কিছু মামলার মধ্যে যে মামলা গুলি লোক আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব সেই মামলা গুলির রায়দান করা হয় জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যম দিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রণয়! প্রেমের টানে ঝাড়খণ্ড থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে হাজির নাবালিকা
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতে জাতীয় লোক আদালতের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়। পুরুলিয়া সদর কোটে ১০ বেঞ্চ , রঘুনাথপুর সাব ডিভিশনের ৩ টি বেঞ্চ ও ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ফোরামে ১ বেঞ্চ হয় তৈরি করা হয় জাতীয় লোক আদালতের জন্য।
পুরুলিয়া জেলা জুড়ে মোট ১৪ বেঞ্চে লোকো আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। এই দিন প্রায় ৬০০০ এর ও বেশি মানুষ লোক আদালতের দারস্ত হয়েছিলেন। এই লোক আদালতের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে আদালত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: মোকার তাণ্ডবে উত্তাল সমুদ্র! স্নান করতে নেমেছিলেন, তারপর যা ঘটল…! দিঘায় আতঙ্ক
মূলত আদালতে যে পর্যায়ক্রমে মামলা চলে তাতে মামলার নিষ্পত্তি হতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। সেখানে লোক আদালতের মাধ্যমে বিনামূল্যে আপস যোগ্য যে কোন মামলার থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি পাওয়া যায়। এ লোক আদালত তৈরি হওয়ার ফলে মানুষের যেমন অনেক উপকার হয়েছে তেমনি আদালতে কাজের চাপও অনেকটাই কমেছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে লোক আদালতের উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে পড়া হয়।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়





