প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে জিত্নী কুমারের স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই নাতির সংসারে তিনি রয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হঠাৎই সেই ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর খোঁজ নিয়ে বৃদ্ধা ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের দারস্থ হলে তিনি জানতে পারেন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাকে মৃত হিসেবে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। পুনরায় তার বার্ধক্য ভাতা চালু করার আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধা।
advertisement
ওই বৃদ্ধার নাতি ধরম কুমারের অভিযোগ, জিত্নি কুমারের এই বার্ধক্য ভাতা ২০১৩ সালের আগে গ্রামের একই নামে থাকা অন্য এক ব্যক্তি পাচ্ছিল। সেই সময় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানোর পর জিত্নি কুমার বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করেন। বৃদ্ধাকে মৃত রিপোর্ট দেওয়ার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তার নাতি। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন জেলা শাসকের পক্ষ থেকে তাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের পরে বৃদ্ধার বার্ধক্য ভাতা পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ Viral Video: অবিকল মানুষের মত কথা বলা শালিক পাখি, শিস দেয় শাঁখও বাজায়, ভাইরাল ভিডিও, না দেখলেই মিস
এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গুরুচরণ কুমার জানান,’বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুনরায় যাতে ঐ বৃদ্ধার পেনশন চালু করা হয় সে বিষয়ে চেষ্টা করা হবে।’ হঠাৎই বার্ধক্য ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ৭৬ বছর বয়সী জিত্নী কুমার। কবে পুনরায় তার বার্ধক্য ভাতা চালু হবে সেই দিনের আশায় দিন গুনছেন তিনি।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি