এ বিষয়ে ওয়াটার সেড প্রকল্পের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আনসারী বলেন , সেচ ব্যবস্থা না থাকার কারণে গাছের যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে , তেমনি আমের সাইজও অনেকটা ছোট হয়ে গিয়েছে। ফলনও আগের তুলনায় অনেকটা কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গ্রামের কেউ তিন বছর ধরে কথা বলে না! কী দোষ পরিবারের! জানলে শিউরে উঠবেন
advertisement
এই আম চাষের উপর নির্ভর করে অনেক চাষীর রুটি রুজি চলে। পাশাপাশি চাষের কাজের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা ষোল আনা কমিটিকে এর লভ্যাংশ দিতে হয়। যা দিয়ে গ্রামের উন্নয়নের কাজ করা হয়। তাই আম বাগানের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।
প্রসঙ্গত , তথাকালীন বাম আমলে পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের ভান্ডার পোয়ারা এলাকায় সরকারের ওয়াটার সেড প্রকল্পের আয়তায় তিনটি আমবাগান তৈরি করা হয়েছিল। বিকল্প কর্মসংস্থানের আশায় এই বাগান তৈরি করা হয়েছিল। ভান্ডার পোয়ারা , ভান্ডার পোয়ারা বস্তি ও ময়রাডি।
আরও পড়ুনঃ গ্রামে মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ মহিলাদের
ভান্ডার পোয়ারা বস্তি বাগানের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিঘা। সেখানে ৩০০০ এর মত আম গাছ রয়েছে। ভান্ডার পোয়ারার বাগানের পরিমাণ ৯ বিঘা। সেখানে ২,৩০০ টি আম গাছ রয়েছে এবং ময়রাডি বাগানে প্রায় আট বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে ১,৮০০ মত আম গাছ আছে।
মূলত আম্রপালি জাতের আম চাষ হয়ে থাকে এই বাগান গুলিতে। বহু মানুষ এই বাগান থেকে আম কিনতে আসেন। কিন্তু এ-বছর আমের ফলন যথাযথ না হওয়ায় মন ভার চাষীদের। সেচ ব্যবস্থা হলে আম চাষ আবারও আগের মত হবে বলে আশা করছেন চাষীরা।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি