সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে , ১২১২ সালের এই রথযাত্রার সূচনা হয়েছিল পুরুলিয়ায়। বাঁকুড়া জেলার কারিগর আশুতোষ কর্মকারের কারিগরি দক্ষতায় লোহা ও পিতলের সংমিশ্রণে নির্মিত হয়েছিল এই রথটি। এই রথের প্রতিষ্ঠা করেন এক ধর্মপ্রাণা বাইজি মনমোহিনী বৈষ্ণবী তথা মনি বাই। তিনি চকবাজারে প্রথমে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির। ওই মন্দিরের রাখা বিগ্রহ রথে দিন রথের উপর অধিষ্ঠিত হয়। এবং সেই রথ শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির পথে টমেটো, উচ্ছে ৫০ টাকা কেজি! বাজার গেলেই পকেট ফাঁকা
তথকালীন সময়ে বেশ কিছু গণ্যমান ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ট্রাস্টিবোর্ড গঠন করেছিলেন মনি বাই। সেই ট্রাস্টিবোর্ডের উপরে দায়িত্বভার ছিল এই সমস্ত কিছু রক্ষণাবেক্ষণের। বর্তমানে সেই ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম এক্সিকিউটার পুরুলিয়া চক বাজারে বাসিন্দা নন্দলাল দত্ত কয়াল পরিবার। ১৯২২ সাল থেকে তাঁরা বংশ পরম্পরায় এই মন্দির ও রথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার পালন করে আসছেন। এ বিষয়ে দত্ত পরিবারের বর্তমান উত্তরসূরী সচি দুলাল দত্ত জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় এই রথ ও মন্দিরের দায়িত্বভার সামলে আসছেন। রথের দিন বহু মানুষের সমাগম হয় এই মন্দিরে। ১১২ তম বর্ষে পদার্পণ করল এই রথযাত্র, এই রথ তাঁদের কাছে ঐতিহ্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ওজন কমবে! স্টার ফল খেয়ে স্টারদের মতো ফিগার পেতে পারেন, জানুন
জানা গিয়েছে যে সময় এই রথটি নির্মাণ করা হয়েছিল তখন তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল ১২ ফুট, উচ্চতা ছিল প্রায় ২২ ফুট ও চাকা দশটি। পরবর্তী সময়ে বাজার এলাকার রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলে রথের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ২-ফুট ও উচ্চতা বেশ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয় এবং ৮ টি চাকা লাগানো হয় ও রথের সংস্কার করা হয়। পুরুলিয়া শহরের মানুষদের কাছে অতীব গর্বের এই রথ।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি