মৃতার নাম হিমানী মাঝি ,বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উমেশের প্রথমে একটি বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু প্রথম পক্ষের সঙ্গে কোনও সন্তান হয়নি। এর পর বছর দুয়েক আগে আরষার মিশিরটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা হিমানীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে উমেশ। অভিযোগ, দীর্ঘ দুবছর কেটে যাওয়ার পরেও দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনও সন্তান না হওয়ায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে উমেশ মাঝি। তারপরেই স্থানীয় একটি প্রার্থনালয়ে যায় সে।
advertisement
ঘটনা কি নিছকই কাকতালীয় , নাকি এর সঙ্গে রয়েছে কোন তন্ত্রসাধনার যোগ? এই নিয়ে ও উঠছে নানান প্রশ্ন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মৃতার বাবা সোনারাম মাঝি বলেন, দুবছর আগে তাঁর মেয়ের সঙ্গে উমেশ মাঝির বিয়ে হয়। মেয়ের সন্তান না হওয়ার জন্য প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত। বৃহস্পতিবার সেই বিবাদ চরমে ওঠে এবং হঠাৎই তিনি জানতে পারেন তার মেয়েকে তার জামাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে।
তিনি আরও বলেন, খুনের পরে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামেরই একটি প্রার্থনালয়ে গিয়ে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজনকে খুনের কথা জানায় তার জামাই। তারপরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে আরষা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি । দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন মৃতার বাবা।
আরও পড়ুন, 'ছবির নীচে সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না মমতা!' প্রকাশ্যেই আক্ষেপ মন্ত্রীর
আরও পড়ুন, ভাঙড় নিয়ে আরাবুলের সঙ্গে বৈঠকে শওকত! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কাইজারের
অভিযুক্ত উমেশ মাঝিকে রবিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আরষা থানার পুলিশ। পাশাপাশি দোষীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়