পুরুলিয়ার মানুষ বারবার এই সাহেব বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। সরব হয়েছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু একটা বড় সময় জুড়ে এই দাবির প্রতি বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত সাহেব বাঁধের কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিল পুরুলিয়া পুরসভা।
আরও পডুন: ক্লাসে ঢুকলেই প্রাণ যেতে পারে, তাই খোলা আকাশের নিচে চলছে স্কুল
advertisement
দিন তিনেক আগে সাহেব বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি শহরের মানুষ। তাঁরা জানিয়েছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সাহেব বাঁধ। প্রতিদিনই এই বাঁধের পাড়ে বহু মানুষ প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন। শিশুরা বাঁধ সংলগ্ন পার্কে খেলে। অনেকেই বেড়াতে আসেন এই সাহেব বাঁধে। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় ক্রমশ অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠছিল এই বাঁধের। তবে পুরুলিয়া পুরসভা শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসায় সমস্যা মিটল।
এই সাহেব বাঁধের পাড়ে গড়ে উঠেছে শিকারা পয়েন্ট। বহু পর্যটক সাহেব বাঁধের শিকারা পয়েন্টে আসেন। সাহেব বাঁধের পাড়ে রয়েছে একটি সেলফি পয়েন্টও। আট থেকে আশি অনেকেই এখানে ভিড় জমান। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বহু পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে এখানে। কিন্তু কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় এই সমস্ত কিছুই বিঘ্নিত হচ্ছিল। সাহেব বাঁধের সৌন্দর্য অনেকটাই চলে গিয়েছিল। তবে পুরুলিয়া পুরসভা সাহেব বাঁধের পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি