উত্তর ২৪ পরগনা: স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া স্কুল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। এটাই হল হিঙ্গলগঞ্জের আমমেড়িয়া এফপি স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতি।
১৯৪২ সালে হিঙ্গলগঞ্জে এই প্রাথমিক স্কুলটি গড়ে ওঠে। সেই সময় সুন্দরবন এলাকায় খুবই কম স্কুল ছিল। ধীরে ধীরে স্কুলটির একতলায় চারটি ঘর তৈরি হয়। কিন্তু ৭০ বছরের স্কুলটিতে সংস্কারের তেমন কোনও কাজ হয়নি। ফলে চারটি ঘরেরই ছাদ প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। যখন তখন খসে পড়ে পলেস্তেরা। দেওয়াল থেকে উঁকি মারছে বটগাছের চারা। ভেঙে পড়েছে স্কুল দালান। এই অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা।
বর্তমানে এই স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭২ জন। ৩ জন শিক্ষক আছেন। তাঁরা কেউই ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাসরুমে ঢোকেন না। ফলে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে স্কুলের ঘর। পড়াশোনা হয় পার্শ্ববর্তী মুক্ত মঞ্চ ও খোলা আকাশের নিচে।
স্কুলের এই বিপজ্জনক অবস্থা দেখে অভিভাবকরাও ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পড়তে পাঠাতে চাইছেন না। এই প্রসঙ্গে আমমেড়িয়া এফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোমশঙ্কর গাইন বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে এই স্কুল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্রমে সেটি মুছে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। দ্রুত নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরির জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও সুখবর নেই। এই অবস্থায় গ্রীষ্মের তীব্র রোদ ও কিছুদিন পরেই শুরু হওয়া বর্ষার বৃষ্টিতে কীভাবে পড়াশোনা চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
জুলফিকার মোল্লা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Basirhat, North 24 Parganas news, School, Student, Sundarban