সেই ক্ষোভে সোমবার লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিবালা মাহাতোকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, আবাস যোজনার আগের তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত ছিল। কিন্তু নতুন তালিকায় তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, দরিদ্রদের কাছে পাঁচ একর জায়গা ও দূর ফসলি জমি রয়েছে। পুরুলিয়া রুক্ষ মাটিতে দু'ফসলি জমি প্রায় নেই বললেই চলে। গরিব মানুষদের নাম বাদ দেওয়ার পিছনেও অযৌক্তিক কারণ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। পুনরায় সার্ভে করে অবিলম্বে নতুন তালিকা প্রকাশ করার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার ভারী গাড়ির, মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই সেতুতে!
আরও পড়ুন: রান্নার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ভয়ানক ঘটনা! করুণ পরিণতি রংমিস্ত্রির স্ত্রীর
এ বিষয়ে লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিবালা মাহাতো বলেন, বেলকুঁড়ি গ্রামে ১৯৯ জনের নাম বাদ পড়েছে, এছাড়াও চাকরা গ্রামে বাদ পড়েছে ৭২ জনের নাম। নাম বাদ পড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। অন্যায় ভাবে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ''তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে যোগ্য জবাব দিতে হবে। সার্ভেতে কোন ভুল নেই। কিন্তু তারপরেও যোগ্য ব্যক্তিরা বঞ্চিত হয়েছেন। এর সঠিক বিচার হোক।'' ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চান শান্তিবালা মাহাতো।
আবাস যোজনা তালিকার সংশোধন হয়ে কবে যোগ্য ব্যক্তিরা ঘর পাবেন সে দিকেই তাকিয়ে পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের বেলকুঁড়ি ও চাকরা গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি