জানা যায়, সেদিন নেতাজিকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে কাতারে, কাতারে মানুষের ঢল নেমেছিল নীলকণ্ঠ নিবাসে। পুষ্প বৃষ্টির মাধ্যমে নেতাজিকে স্বাগত জানিয়েছিল গোটা নীলকণ্ঠ নিবাস। আজও নীলকন্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরীরা প্রাণপণ সেই ইতিহাস আগলে রাখার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। নীলকন্ঠ নিবাসের যে অতিথিশালায় নেতাজি রাত্রিযাপন করেছিলেন পরিবারের পক্ষ থেকে সেই ঘরটি সংরক্ষিত করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। তবে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজশেখর চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
চট্টোপাধ্যায় বাড়ির বর্তমান কনিষ্ঠ পুত্র রাজশ্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তার জেঠু বিধান চট্টোপাধ্যায়ের কাছে রবি ঠাকুরের লেখা 'দুই বিঘা জমি' কবিতার আবৃত্তি শুনেছিলেন নেতাজি। সেই আবৃতিতে মনমুগ্ধ হয়ে নেতাজি নিজের পরনের টুপি খুলে তাকে পরিয়ে উৎসাহিত করেছিলেন। এই ঘটনাই নেতাজির স্নিগ্ধতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ বলে মনে করেন তিনি। নীলকন্ঠ নিবাসে রাত্রি যাপন করা কালীন নেতাজির শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাই ভোজন স্বরূপ হাতে গড়া দুটি রুটি ও স্টু খেয়েই বেরিয়ে পড়েছিলেন পরিকল্পিত সভার গুলির উদ্দেশ্যে। গোটা নীলকণ্ঠ নিবাসের আঙিনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে।পূর্বপুরুষদের মতোই বংশ-পরম্পরায় নেতাজির সুভাষচন্দ্র বোসের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন চট্টোপাধ্যায় নিবাসের পরবর্তী প্রজন্ম।
গোটা দেশের কাছে যাঁর অবদান অপরিসীম সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের সান্নিধ্য পেয়েছিল পুরুলিয়া জেলা। সে সময় জ্বর গায়ে ৩০ টিরও বেশি সভা করেছিলেন তিনি। তাঁর শেষ মানভূম সফর পুরুলিয়ারবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দাবি মেনে কবে নেতাজির সেই ঘর সংরক্ষিত করা হবে তারই অপেক্ষায় রয়েছে গোটা মানভূম।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়