আরও পড়ুন: লোকশিল্পীদের মাধ্যমে হবে সরকারের প্রকল্পের বিস্তার! আলিপুরদুয়ারে বিরাট আয়োজন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল থেকে তিনটি হাতির এসে বিশুলি সহ পার্শ্ববর্তী গোসাইডি গ্রামের বেশ কয়েকটি ধান জমি ও বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। গোটা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। যার ফলে অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি হয় গ্রামবাসীদের। তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর গ্রামেরই বাসিন্দা কৈলাস মাহাতর দোকানের দরজা ভেঙে কেক, পাঁউরুটি খেয়ে চম্পট দেয় হাতির দলটি। দোকানের বেশ কিছু জায়গা ভেঙেও দিয়েছে। অন্যান্য দিন তিনি দোকানেই রাতে ঘুমান কৈলাস মাহাত। তবে এদিন তিনি নিজের বাড়িতে ছিলেন , তাই বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
advertisement
অপরদিকে গোসাইডি গ্রামের ললিত মাহাত জানান, হাতির দলটি তাঁর ও প্রতিবেশীর জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। যার ফলে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে তিনি জমিতে চাষ করেছিলেন। এর ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন জানান তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির তাণ্ডবের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা হাতিগুলিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
বছর কুড়ি আগে পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে দু-একটা হাতির দল বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এ রাজ্যে ঢুকত। বেশ কিছুদিন এ জেলা-ও জেলা ঘুরে বেড়িয়ে ফিয়ে যেত। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই দলমার হাতিরা ধীরে ধীরে বাংলার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জঙ্গলে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছে। এদিকে গোটা বছর জঙ্গলে খাবার না মেলায় মাঝেই মধ্যেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে বিচরণ হানা দিচ্ছে তারা। এতে চাষ জমি, বাড়িঘরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই প্রাণহানি’ও ঘটছে।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি