বৈশাখ মাসের শুরু থেকে পানিফল চাষের জন্য জলাশয় পরিষ্কার করে বীজ বপন করতে হয়। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বাজারে পানিফলের দেখা মেলে। শীতের মরসুমে পানি ফলের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। পুকুর বা জলাশয় ছাড়াও যে কোন জলা জায়গাতেই পানিফল চাষ করা যায়। পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের ডিয়ার পার্ক সংলগ্ন লোহারসোল ড্যামে ব্যাপক হারে পানিফলের চাষ হয়েছে।
advertisement
এলাকার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন চাষী রয়েছে যারা লোহারসোল ড্যামে পানিফল চাষ করছে। এলাকারই এক চাষী সরাবন মাহাতো বলেন, পাইকারি দরে তিনি প্রতিদিন দশ ব্যাগ পানিফল বিক্রি করেন। পুরুলিয়া শহরের স্থানীয় বাজার গুলির পাশাপাশি জেলার অন্যান্য বাজারেও তিনি পানিফল বিক্রি করছেন। এবছর পানিফলের যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সরাবন মাহাতো।
অপরের এক চাষী বিফল মোদী বলেন, দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে তিনি পানিফল চাষ করছেন। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পানিফল সংগ্ৰহ করেন তিনি। পানিফলের ফলন ভালো হলেও ফলের এক ধরনের নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে পানিফলের সাইজ তুলনামূলক ছোট হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ কাতারে ভরা স্টেডিয়ামে বান্ধবীকে ঠোঁট ঠাসা চুম্বন, কঠিন শাস্তি হতে পারে কুর্তোয়ার
পানি ফলরে উপকারিত সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে হার্ট সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে পানিফলের জুড়ি মেলা ভার। তাই দামে কম হলেও জোরকদমে বাজারের দামি ফলের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে এই পানিফল।
Sarmistha Banerjee