প্রতিবন্ধীদের স্বার্থে কাজ করা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির অভিযোগ, সরকারি যে কোনও কাজে প্রতিবন্ধীরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। অনেকেই ভুয়ো প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট তৈরি করে নানান সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে বলেও তাঁরা জানান। এর ফলে যারা প্রকৃত প্রতিবন্ধী তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। অবিলম্বে ভুয়ো প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ করার দাবি তোলেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কলেজ তৈরিতে নিজের সব সম্পত্তি দান করেছিলেন তরুণ রাজা! এই বাংলাতেই আছে
মানভূম মা-মাটি-কল্যাণ সমিতি দাবি তুলেছে, পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে যত কর্মী আছেন তার অন্তত পাঁচ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষদের কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। দেবেন মাহাত মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালের আউটডোরে চারজন প্রতিবন্ধীকে নিয়োগ করা ও প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে প্রতিবন্ধীকে নিয়োগ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে এর ফলে অনেক প্রতিবন্ধী পরিবার, যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তারা উঠে দাঁড়াতে পারবে। এই দাবি না মানা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মানভূম মা-মাটি-কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
ঘটনা হল, সরকারি নানান আইন থাকলেও আজও প্রতিবন্ধীরা সমাজের সর্বস্তরে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। এর ফলে শারীরিক প্রতিকূলতার পাশাপাশি তাঁদের মানসিকভাবেও নানান আঘাত সহ্য করে বাঁচতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সকল প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্যই অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পথে নেমেছে মানভূম মা-মাটি-কল্যাণ সমিতি।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি