তাদের দাবি, পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় সাঁওতালি ভাষার কলেজ স্থাপন করতে হবে, সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক ও সঠিক সময়ে পাঠ্য পুস্তক প্রদান করতে হবে। সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করতে হবে। বন্ধ হওয়া আদিবাসী হোস্টেলগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে। বনাধিকার আইন ২০০৬ কঠোরভাবে লাগু করতে হবে ও গ্রাম সংসদের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে এফআরসি কমিটি গঠন বন্ধ করতে হবে। ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ করতে হবে, ইতিমধ্যেই যে জাল সার্টিফিকেট ছড়িয়ে পড়েছে তা বাতিল করতে হবে। অযোধ্যার চূড়গা প্রজেক্ট বাতিল করতে হবে। এই একগুচ্ছ দাবির কথা তুলে ধরে আদিবাসীরা এদিনের কর্মসূচির ডাক দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: আদিবাসীদের 'চাক্কা জ্যাম' আন্দোলনে স্তব্ধ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো, ভোগান্তির মুখে পথচারীরা
আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের এই সমস্ত দাবিগুলো পূরণ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বুধবার আদিবাসীদের এই পথ অবরোধের জেরে পুরুলিয়া জেলায় গাড়ির চাকা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে বাস। ফলে ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি