স্থায়ী স্টল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমানে সৈকতের পাশে শ’য়ে শ’য়ে অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। তাই আগত পর্যটকরা স্থায়ী স্টলে না এসে ওই অস্থায়ী দোকানগুলিতে কেনাকাটা করছেন। এর ফলে তাঁদের দোকানে বসে বসে কার্যত মাছি তাড়াতে হচ্ছে। দীর্ঘ তিন-চার বছর ধরে এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এর ফলে ব্যবসায় ব্যাপক মন্দা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া প্রচুর অস্থায়ী ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসার কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আর পর্যটকদের স্বাভাবিক যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে বলেও তাঁদের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী, রাস্তায় হঠাৎ পথ আটকাল দুষ্কৃতীরা, তারপর যা ঘটল ভয়ঙ্কর
স্থায়ী দোকানদারেরা বলেন, আমরা অনেক টাকা খরচ করে স্টল নিয়েছি। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো প্রচুর অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। দিনদিন আরও দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। অস্থায়ী দোকানগুলির জন্য আমাদের খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য এর আগে আমরা বার বার উন্নয়ন পর্ষদকে জানিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমরা গত ২০ ডিসেম্বর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকের কাছে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডেপুটেশনও দিয়েছিলাম। উন্নয়ন সংস্থার কর্তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় অস্থায়ী দোকান সরানোর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ২৬ ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে, স্থায়ী স্টল গুলোর দোকানদারেরা।
স্থায়ী স্টলের দোকানদারগণ শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে যেতে বাধা দিচ্ছেন। আর সমুদ্র সৈকতে যেতে না পেরে হতাশ পর্যটকেরা। দিঘার ৭ টি মার্কেটে স্থায়ী স্টলের মালিকগণদের দাবি যত দিন না তাদের এই সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে ততদিন সমুদ্রসৈকতের রাস্তা অবরুদ্ধ করে তারা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখাবে। দীঘায় এই দোকানদারদের বিক্ষোভের ফলে বর্ষপূর্তি ও বর্ষবরণের সময় দিঘায় আসা পর্যটকেরা বিপাকে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।
Saikat Shee