নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। কিন্তু লাইসেন্স সহ বেশ কিছু নিয়মকানুন না জানার ফলে তাঁদের উপকূল রক্ষী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় মৎস্যজীবীদের। সেগুলি দূর করতেই বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর দু'টো নাগাদ নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কাঁটাখালি মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা বসে। উপস্থিত ছিলেন প্রায় শতাধিক মৎস্যজীবী। সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি, উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার কুষ্ঠ রোগীদের নিরাপদ আশ্রয় এই আশ্রম, আর্থিক সাহায্য ছাড়াই আপনজনের মত আগলে রাখে
এই সভায় মৎস্যজীবীদের তালিকা তৈরি করে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়। আগে কাঁথি মীন ভবন থেকে এই সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হত। তবে এখন থেকে ব্লক মৎস্য বিভাগেই যাবতীয় কাজ হয়ে যাবে। এছাড়াও মাছ ধরতে যাওয়ার সময় মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও ভালো করে বুঝিয়ে দেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকর। এদিকে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের ছোট ইলিশ ও ডলফিন ধরতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত আইনের বিষয়টিও তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ব্লকের ফিশারি অফিসার সুমন কুমার সাহু জানান, মৎস্যজীবীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে তাঁরা। এই বিষয়ে যা যা সাহায্য করা প্রয়োজন সবই করা হচ্ছে।
সৈকত শী