জল-ই জীবন, এই বাক্যটা তাঁদের কাছে পরিচিত হলেও বাস্তব জীবনে সম্পূর্ণ উল্টো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এই গ্রামে হতদরিদ্র মানুষগুলোকে। ওই এলাকার প্রায় ৪০ টি পরিবার দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুকুরের জলকে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে।
আরও পড়ুন: নতুন নলকূপ না বসলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কট হবে, হুঁশিয়ারি হরিপুরের বাসিন্দাদের
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে এই পরিবারগুলোকে কেন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল? গ্রামবাসীদের দাবি, পিএইচই দফতর থেকে ২০১৮ সালে গ্রামে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছিল। এলাকায় পৌঁছেছিল পাইপ লাইনে করে সেই জল। কিন্তু মাসখানেক যেতে না যেতেই সেই কল থেকে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এলাকায় থাকা টিউবওয়েলটিও খারাপ হয়ে পড়ে। ওই এলাকায় পানীয় জলের আর কোনও ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিগত কিছু বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প আছে। কিন্তু বেশিরভাগ গ্রামবাসীকে পানীয় জলের জন পুকুরের নোংরা জলের উপরি ভরসা করতে হয়। বাঁশের হয়ে পুকুরের জলকে ফুটিয়ে পানীয় জল হিসেবে পান করছেন পাঁশকুড়া ব্লকের জগৎপুর গ্ৰামের ৪০টি পরিবার।
গ্রামবাসীদের দাবি, একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা পুকুরের জল পান করেন। এর থেকে নানান অসুখ হতে পারে তা জেনেও তাঁরা ওই পুকুরের জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন।
সৈকত শী