পট শিল্পের লোক সংস্কৃতির দুটি ধারা একসঙ্গেই তুলে ধরা হয়। পট শিল্পের মাধ্যমে লোকচিত্র ও লোকগান লালিত পালিত হয়। শোনা যায় বৌদ্ধভিক্ষুরা বুদ্ধদেবের জীবনী ও পূর্বজন্মসংক্রান্ত জাতকের গল্প প্রচার করতেন এই পট প্রদর্শন করে। এই পটকে বলা হয় মঙ্করী পট। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে পটশিল্পের উল্লেখ রয়েছে। হরিবংশ, অভিজ্ঞান শকুন্তলম ও মালবিকাগ্নিমিত্রম, হর্ষচরিত, উত্তররামচরিত এবং মুদ্রারাক্ষস গ্রন্থে পটের উল্লেখ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও সফলতার শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর
শোনা যায়, শ্রীচৈতন্যদেবের বাণী প্রচারের জন্য একসময় পটের ব্যবহার হত। পটশিল্প সেই অর্থে দেখতে গেলে বাংলার লোকশিল্প। এই লোক শিল্পের প্রসার ও বিকাশ ঘটাতে উদ্যোগী রেল কর্তৃপক্ষ। ২০২২- ২৩ রেল বাজেটে বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক শিল্পের প্রসার ঘটানোর জন্য ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকায় এগিয়ে নন্দীগ্রাম! এক স্কুল থেকে দুই ছাত্রী ষষ্ঠ!
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী মেছেদা রেল স্টেশনে পটশিল্পের স্টল চালু হল। শুধু শিল্পের প্রসার ও বিকাশ নয় পটশিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে উপকৃত হবেন স্টলের মাধ্যমে। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পটশিল্পীরা।
Saikat Shee