বর্তমান সময়ে শৌখিনতার অঙ্গ হিসাবে অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ চাষ বহুল প্রচলিত। নন্দীগ্রামের মনোরমা পানি প্রথম প্রথম নিজের শখের কারণে রঙিন মাছের চাষ শুরু করেন। তার এই শখ ব্যবসায়ে পরিণত হয়। বাড়ির সামনে চৌবাচ্চা ও পুকুরে করছেন বিভিন্ন রঙিন মাছের চাষ। তবে কেবল চাষই নয়, তিনি মাছের প্রজননও করান। এই বয়স্ক মহিলা কীভাবে নিজের হাতে এই মাছের চাষ করছেন।
advertisement
সে বিষয়ে মনোরমা পানি বলেন, “এমন কিছু করা ইচ্ছা ছিল যেখানে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আমি দেখলাম, রঙিন মাছ চাষ আমাকে আনন্দ ও অর্থ দুটোই দিচ্ছে। আমার তেমন কষ্ট হচ্ছে না। তাই বৃহৎ পরিসরে শুরু করার জন্য চেষ্টা করি। এই বিষয়ে মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতা পেয়েছি।”
অতি সহজেই বাড়ির সামনে চৌবাচ্চা নির্মাণ করে এই সব অ্যাকোয়ারিয়াম ফিশের চাষ করা যায়। বাড়ির মহিলারা এর ফলে সাংসারিক কাজের সঙ্গে সঙ্গে পাবে বাড়তি উপার্জনের সুযোগ। তাছাড়া অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানে রঙিন মাছের ভালই চাহিদা আছে এবং বাইরের দেশেও রফতানি হয়।গোল্ড ফিশ, ডিসকাস, অসকাস, রেড ক্যাপ, রেড আই, মিল্কি, বার্ব প্রভৃতি প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ করেন তিনি। এই সব মাছ এই মাছ মশার লার্ভা খায়। এছাড়া বাজারে পাওয়া মাছের কেঁচো, ড্রাইফুট ইত্যাদিও দেওয়া হয়।
নন্দীগ্রামের মনোরমা পানি এই বয়সে এসে সফলভাবে মাছ চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই মাছ চাষ সম্পর্কে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বাড়িতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে শৌখিন মানুষ এসব মাছ পালন করেন। এসব মাছের দাম একটু বেশি। তা ছাড়া এ মাছের চাষাবাদে প্রয়োজন নেই অতিরিক্ত সময়ের। নির্ধারিত সময়ে খাবার ও একটু যত্ন নিলেই ব্যাপক লাভবান হতে পারেন উদ্যোক্তারা।