আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে উল্টো ছবি হাওড়ায়! খুশি শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারী মায়ারানি পাঁজার বাড়ি নন্দকুমারেরই ভবানীচক গ্রামে। তিনি জানান, বছর পাঁচেক আগে মেয়ে সোনালী পাঁজার চাকরির জন্য গোপাল মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। মেয়ে সোনালী ডিভোর্সি হওয়ায় তার চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে টাকা দিয়েছিলেন বলে মায়ারানির দাবি। সোনালী পাঁজাকে প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি এবং পরে তমলুক-ঘাটাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত কোথাওই চাকরি হয়নি।
advertisement
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও চাকরি না হওয়ায় গোপাল মাইতির কাছে টাকা ফেরত চাইলেও তা পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলেন মায়ারানি পাঁজা ও তাঁর স্বামী দিলীপ পাঁজা। তাঁদের দাবি, মেয়ের চাকরি হওয়ার আশায় ১৬ লক্ষ টাকা দিতে গিয়ে জমি-বাড়ি সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে হয়েছে। তারপরও বাজারে কয়েকজনের কাছ থেকে ধার নিতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরও চাকরি হওয়া বা টাকা ফেরত না পাওয়ায় বর্তমানে তাঁরা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। আর তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান অভিযোগকারী। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত গোপাল মাইতির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সৈকত শী