গান্ধী বুড়ি নামে খ্যাত মাতঙ্গিনী হাজরা, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তমলুক থানা দখল অভিযানে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তমলুক থানার অদূরে বানপুকুর পাড়ে ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে লুকিয়ে পড়েও জাতীয় পতাকা মাটিতে পড়তে দেননি তিনি। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ ত্যাগ করেন তিনি। দেশকে স্বাধীনতার আলো পৌঁছে দিতে মিছিলের সম্মুখে নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করে নেওয়া এই মহীয়সীর জন্মভিটে স্বাধীনতার ৭৫ বছর বাদেও অন্ধকারে নিমজ্জিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে শহরে মদ বিরোধী আন্দোলনে সামিল জনতা
অবশেষে শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী কুটির আলোকিত হতে চলেছে। তমলুক থানার অন্তর্গত হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী কুটিরে নেই বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামলেই আধারে ডুবে যায় মাতঙ্গিনী হাজরার কুটির। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল মাতঙ্গিনী হাজরার কুটিরে বৈদ্যুতিক সংযোগ করা হোক।
আরও পড়ুনঃ প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপনে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা
অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। সম্প্রতি শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির একটি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মস্থান হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী কুটিরে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুতের মিটার, বিদ্যুতের বিল বাবদ খরচ শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। উপস্থিত বিডিও, সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষ সহ সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Saikat Shee