পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে এবারে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৪ হাজার ৮১১ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এ বছর ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। ৩৩ হাজার ৭৯৫ জন ছাত্রী এবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। ৩১ হাজার ১৬ জন ছাত্র এই জেলা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। শুধুমাত্র মাধ্যমিক পাশের সাফল্যের হারের নিরিখে না, মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছে দেবশিখা প্রধান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। দেবশিখা চোরেপালিয়া শ্রী শ্রী বাসন্তী বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্রী। মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান লাভ করেছে জেলার দুই মেধাবী। কন্টাই হিন্দু গার্লস স্কুলের সমতা কুইল্যা ও মানিকজোড় কামিনী কুমারী হাইস্কুলের প্রতীক মাইতি। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। রাজ্যের মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান লাভ করেছে সায়ন্তন মাইতি। সায়ন্তন কিশোর নগর শচীন্দ্র শিক্ষা সদন থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। এছাড়াও মেধাতালিকায় অষ্টম স্থান লাভ করেছে জেলার তিনজন মেধাবী ছাত্র ছাত্রী। কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাই স্কুলের ঈশিতা মাইতি, হাঁসচড়া মৃত্যুঞ্জয় ধনঞ্জয় হাই স্কুলের স্নেহাশীষ গায়েন ও বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের অনিস ঘোড়াই। তিনজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। এছাড়াও রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান লাভ করেছে জেলার ৮ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে শীর্ষে বাঁকুড়া! ১৩ জন মেধা তালিকায়
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক স্কুলে পাশের হার একশ শতাংশ। তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ২৪৮ জন, ২৪৮ জনই পাশ করেছে। এই স্কুলের দুজন ছাত্র শৌণক প্রামানিক ও আলেখ্য বর তালিকায় দশম স্থান লাভ করেছে। দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। রাজকুমারী স্বান্তনাময়ী গার্লস স্কুল ২৪৭ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। ২৪৭ জনই পাশ করেছে। স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান দখল করেছে তন্নিষ্ঠা দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। ময়নার পরমানন্দপুর জগন্নাথ ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯০ জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। ওই স্কুলের ১৯০ জন ছাত্র পাশ করেছে। স্কুলে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপক দেবরূপ মাজি, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। জেলাজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের এই সাফল্যে খুশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিক্ষক মহল।
Saikat Shee