তমলুকের ভট্টাচার্য পরিবার ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ও বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমা নির্মাণের পাশাপাশি কোজাগরি লক্ষ্মীপূজার সময় লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করে আসছে। করোনার কারণে পর পর দু'বছর সেভাবে লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরীর অর্ডার আসেনি। করোনার কাল পার হতেই এবার কোজাগরি লক্ষ্মী পূর্ণিমা উপলক্ষে লক্ষ্মী পুজোর জন্য ভালই মূর্তি তৈরি বরাত এসেছে। এই পরিবারের মহিলারা সংসারের সমস্ত কাজ সামলে মহিলারাও দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের সঙ্গে দেব দেবীর মূর্তি নির্মাণ কাজে হাত লাগান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল অবস্থা রাস্তার! রাস্তা কেটে প্রতিবাদে সামিল গ্রামবাসীরা
বাড়ির পুরুষদের পাশাপাশি বন্দনা ও চন্দনা ভট্টাচার্য নামে দুই মহিলা সমান দক্ষ প্রতিমা নির্মাণে। ওই দুই মহিলা জানান সংসারের সব কাজ সামলে মূর্তি নির্মাণের কাজ করেন তারা। মূর্তির রঙ থেকে পালিশ করা এমনকি অলংকার দিয়ে সাজিয়ে তোলা সবেতেই সিদ্ধহস্ত। সংসারের আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই তাঁরা মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগান বলে জানান বন্দনা ও চন্দনা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুনঃ শহরে প্রথমবার দুর্গাপূজার কার্নিভালে চূড়ান্ত ব্যস্ততা
'কে জাগো রে' থেকে 'কোজাগর', কোজাগর থেকে অপভ্রংশ হতে হতে কোজাগরি। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী কোজাগরি পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী সদয় হন রাত জেগে তাঁর পুজো অর্চনা করা ভক্তের প্রতি। ভক্তের ধন সম্পদ ও সুখ সমৃদ্ধির ভাঁড়ার পরিপূর্ণ করে দেন দেবী। তাই কোজাগরি পূর্ণিমার রাতে বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা হয়ে থাকে। আর দেবী লক্ষ্মী প্রতিমাকে তৈরি করতে হয় হাত লাগিয়েছে সংসারের লক্ষ্মীরা।
Saikat Shee