দুই ভাই নিমাই মান্না ও সমীর মান্না। দু’জনেই ট্রেনের হকার। ২ জুন ওড়িশার বালাসোরে একটি মালবাহী ট্রেন-সহ দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন ১২৮৪১ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও ১২৮৬৪ বেঙ্গালুরু-হাওড়া এসএফ এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়। নিমাই ও সমীর, দুই ভাই ছিলেন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। দুর্ঘটনার পর থেকেই ভাইয়ের খোঁজে পাগল হয়েছিলেন দাদা। ভাইয়ের খোঁজে দুর্ঘটনাস্থল, নানা হাসপাতালে পাগলের মতো ছুটেছিলেন দাদা। দিনের পর দিন। খোঁজ মেলেনি ভাইয়ের। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ভাইকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেলেন দাদা। দুর্ঘটনার ৫১ দিন পর ভাই সমীর মান্নার নিথর দেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরল।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক, ট্যুইটে শোকপ্রকাশ শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: অর্পিতা… টাকা… গটআপ…! আদালত থেকে বেরিয়েই এ কী বললেন! বিস্ফোরক পার্থ
দুর্ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার কুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সমীর মান্না। সমীরের স্ত্রী উমা মান্না স্বামীর ঘর ফেরার অপেক্ষায় উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। শাশুড়ি যমুনা মান্নাকে স্বামীর খোঁজ পেতে মন্দিরে-মন্দিরে ছুটেছেন। বাড়ির ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছিল পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধান পেতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন দাদা। শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনার দেড় মাসের বেশি সময় পর পাওয়া গেল সমীরকে। ২৩ জুলাই গভীর রাতে দেহ এসে পৌঁছয় কুলবেড়িয়া গ্রামে। ২৪ তারিখ ভোরে দাহ করা হয় গ্রামের শ্মশানে।
ভগবানপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সমীর মান্না দুর্ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ভুবনেশ্বর এইমস রাখা মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। দেহ ফিরে এসেছে। গ্রামের শ্মশানে সৎকার করা হয় মৃতদেহ।
সৈকত শী