TRENDING:

East Medinipur News: ঠিক যেন অপরূপ ডিজাইন করা গয়না! সোনার বদলে ডালের, তৈরি করার পদ্ধতি দেখুন

Last Updated:

ভাজা বা শুক্তো, এই বড়িতেই জমে উঠবে শীতের দুপুরের খাবার! দেখুন গয়না বড়ির রেসিপি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#তমলুক: শীতের দিনে গয়না বড়ি তমলুক মহিষাদলসহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘরে ঘরে চলে তৈরির কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী এই বড়ি খেতে ভালবাসতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায় সহ বিশিষ্টরা। আবার এই গয়না বড়ি জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে উল্লিখিত হয়েছিল। বিউলির ডালকে জলে ভিজিয়ে বেটে, পোস্ত বা তিলের ওপর দেওয়া হয় গহনা বড়ি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই গহনা বড়িতে মজে।
advertisement

বঙ্গের ঋতু রঙ্গে সবচেয়ে প্রিয় ঋতু শীত। শীতকাল মানেই চলে আসে নলেন গুড়, পিঠে পুলি পায়েস সহ বিভিন্ন খাবার দাবার। সেই খাদ্য তালিকায় বড়ির স্থান উপরের দিকেই। আর তা যদি হয় গয়না বড়ি, তাহলে তো আর কথাই নেই। গয়না বড়ির সঙ্গে মেদনীপুরের মানুষের ভালোবাসা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত৷ নবান্ন, বড়দিন বা পৌষমেলার মতোই বাংলার মেয়েদের কাছে শীত ছিল এক উৎসবের ঋতু। আর সেই উৎসবের পুরোধা হল গয়না বড়ি সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিক থেকেই বাড়িতে বাড়িতে লেগে থাকে এই উৎসব।

advertisement

আরও পড়ুন Murshidabad News: জানুন কেন কল্পতরু উৎসব পালন করা হয় 

বিউলির ডাল, পোস্ত, সাদা তিল এবং অন্যান্য মশলার সংমিশ্রনের সঙ্গে মেয়েদের সুদক্ষ হাতের কারুকার্যের নিদর্শন হল এই গহনা বড়ি। বছর পর বছর পেরিয়েও বর্তমান প্রজন্মের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে সেই কারুকার্যের ছাপ।গয়না বড়ির ইতিহাসও বহু শতাব্দী প্রাচীন।

View More

১৯৩০ সালে সেবা মাইতি নামে শান্তিনিকেতনের এক ছাত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তাঁর মা হিরন্ময়ী দেবী ও ঠাকুমা শরতকুমারী দেবীর তৈরি গয়না বড়ি উপহার দেন। রবীন্দ্রনাথ গয়না বড়ির শিল্পকলা দেখে এতটাই আকৃষ্ট হন যে তিনি গয়না বড়িগুলির আলোকচিত্র শান্তিনিকতনের কলা ভবনে সংরক্ষণ করার অনুমতি চেয়ে হিরণ্ময়ী দেবী ও শরতকুমারী দেবীকে চিঠি লেখেন।এর ফলে গয়না বড়ি চারুকলার নিদর্শন হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গয়না বড়িকে শিল্প বলেই মনে করতেন, তাকে রান্না করা বা খাওয়াকে শিল্প ধ্বংস বলেবলে মনে করতেন।

advertisement

আরও পড়ুন Purulia News: বর্ষপূর্তিতে পর্যটক পূর্ণ অযোধ্যা, আনন্দের মাঝেও ছিল বেশ কিছু সমস্যা!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একদা বলেছিলেন, গয়না বড়ি শুধুমাত্র দেখার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। তিনি গয়না বড়ির শিল্পকর্মের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার খোটানে আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্বের শিল্পকর্মের সাদৃশ্য খুঁজে পান এবং গয়না বড়ির প্রদর্শনীর যথাযথ ব্যবস্থা করেন। নন্দলাল বসু গয়না বড়িকে বাংলা মায়ের গয়নার বাক্সের একটি রত্ন বলে বর্ণনা করেন এবং তিনি গয়না বড়ির উপর একটি বই প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১৯৫৪ সালে কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৫৯ তম অধিবেশনে গয়না বড়ি প্রদর্শিত হয়। বংশপরম্পরায় আজও তমলুক মহিষাদল সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ির মা-বোনেরা শীতের সকালে গহনা বড়ি তৈরি করেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
East Medinipur News: ঠিক যেন অপরূপ ডিজাইন করা গয়না! সোনার বদলে ডালের, তৈরি করার পদ্ধতি দেখুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল