পুলিশি ঘেরাটোপে কটকের হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ভানুর। বিস্ফোরনের পরেই এগরার খাদিকুল গ্রাম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে কটকে চিকিৎসা করছিলেন ভানু বাগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভানুর আত্মীয়স্বজনরা তাকে কটকে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে ভানু-সহ তার ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভানুর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় পুলিশে ঘেরাটোপে তার চিকিৎসা চলছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, মেধাতালিকায় তুমুল চমক! দশম স্থানে অনুব্রত
হাসপাতাল সূত্রের খবর তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। ফলে চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতীত তদন্তকারীরা তার বয়ান রেকর্ড করতেই পারেনি। তার মধ্যে কটকে মৃত্যু হল এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানুর।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলমহলে গেলেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন সকলে, নজরের কেন্দ্রে নাকি সার-সার বাড়ি!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ভানু বাগ কারখানার ভেতরেই ছিল। বিস্ফোরণ ঘটার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ভানু বাগকে নিয়ে দ্রুত এলাকা ছাড়ে ভানু বাগের ভাইপো এবং ছেলে। প্রথমে মঙ্গলবার রাত্রি নাম পরিচয় গোপন রেখে ভানু বাগকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে যোগাযোগ করা হয় তখনই আসল পরিচয় জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই ওড়িশা পুলিশের নজরবন্দিতে কটকের রুদ্র হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল অবৈধ বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর আড়াই’টের পর মারা যান ভানু বাগ।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে ভানুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ভানুর দেহ পড়শি রাজ্য থেকে আনতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যপুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ভানুর শেষকৃত্যের পর তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নেওয়া হবে। এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র ও ভাইপো তিনজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে মামলা দায়ের হয়েছিল। ভানুর মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে এই মামলার মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ও ভাইপো। ভাইপোকে ইতিমধ্যে ৮ দিনের সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
Saikat Shee