প্রথম বছর গ্রামবাসীদের পুজোর মনোবাসনা পূরণ করবার লক্ষ্যে পুরুষেরা মিলে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। পরে এই গ্রামের অধিকাংশ যুবকেরা ভিনদেশে ভিন রাজ্যে কর্মসূত্র থাকার কারণে পুজো প্রায় বন্ধের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখন থেকেই পুজোর দায়িত্বভার তুলে নেন গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলারা। সেই থেকেই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এই পুজো।পুজোর জন্য তৈরি করা হয়েছে পদ্ম ফুলের চাষ, ফুলের বাগান, বেল পাতার গাছ সহ একটি পুকুর কাটা হয়েছে। দুর্গা পুজোর জন্য ফুলের যাবতীয় উপকরণ নিজেদের তৈরি বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। পুজোর বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলি হল এক মন ঘি পুড়িয়ে যজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টমীর দিন সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত লাইন দিয়ে চলে পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠান। অষ্টমীর দিন গ্রামের সকলকে খিচুড়ি ভোগ পাত পেতে খাওয়ানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে বিকাশ দিবস পালন দুর্গাপুরে, বিলি করা হল মিষ্টি
মহিলারা এই পুজোর আয়োজন করে থাকলেও ভিন রাজ্য থেকে পুরুষেরা পুজোর কটা দিন এসে একসাথে আনন্দ উপভোগ করেন। এই পুজোকে ঘিরে প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষজনদের আনন্দের সীমা থাকে না। পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, বসে মাঠে বড় আকারের মেলা। এছাড়াও রক্তদান বস্ত্র দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি মহিলাদের দ্বারা একটি আকর্ষণীয় ধনুচি নাচের অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে এই পুজোকে ঘিরে।
Saikat Shee