তমলুকের ভেতর তমলুক পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন বাইশটি যাত্রীবাহী বাস ভোর সাড়ে তিনটে থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত যাতায়াত করত। শহরের ভেতর থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ায় ব্যবসায় লোকসান হবে এই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বাস মালিক সংগঠন ও বাস কর্মচারী সংগঠন। মূলত শহরের যানজট সমস্যার সমাধানের জন্য প্রশাসন থেকে বাস স্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তমলুক শহরের ভেতর থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে তমলুক রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাম্রলিপ্ত সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ বাস মালিক সংগঠন ও কর্মচারী সংগঠন। তাদের দাবি এতে যাত্রীদের পাশাপাশি বাস কর্মচারীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - মুরশুমের শুরুতে দেখা নেই ইলিশের, তবে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা
প্রসঙ্গত ১৯৩১ সালে তমলুক শহরের তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌর ভবনের কাছে তমলুক পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড চালু হয়। দীর্ঘ ৯১ বছর ধরে ওই জায়গায় থেকেই তমলুক পাঁশকুড়া রুটে বাস চলাচল অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি তমলুক শহরের যানজটের কারণে কলকাতা উচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। ওই মামলার বিচারপতি ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটকে সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট পৌর প্রশাসন, বাস মালিক সংগঠন ও কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তমলুক শহরের ভেতর বাসস্ট্যান্ডে সরিয়ে রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নতুন বাস স্ট্যান্ড এ নিয়ে যাওয়া হবে। পুরনো বাস্ট্যান্ড থেকে বাস সরিয়ে নেয়ার জন্য বাস মালিক সংগঠন ও বাস কর্মচারী সংগঠনকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় প্রশাসন। সম্প্রতি প্রশাসনের দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হতেই সরকারিভাবে তমলুকের ভেতরে থাকা পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রশাসনের তরফ থেকে তমলুক এর মানিক তলার মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেড দিয়ে শহরের ভেতর বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছে ঐ রুটের বাস মালিক ও কর্মচারী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তমলুক শহরের বাসিন্দাদের দাবি শহরের ভেতরে বাস চলাচল বন্ধ হলেই শহরবাসীর অসুবিধা হবে।
Saikat Shee