সম্প্রতি দাবি মত চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ি চালককে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে, শ্রীরামপুর মেছাদা রাজ্য সড়কে। গাড়ি চালকদের অভিযোগ পুজো কমিটির দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে গাড়ি ভাঙচুর পরে চালকসহ গাড়িতে থাকা লোকজনকে নাম করিয়ে মারধর করেছে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি ও এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছিল তমলুক থানার অন্তর্গত বাড়বসন্ত এলাকায়। ওই ঘটনায় তমলুক ও নন্দকুমার থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে আহত গাড়ি চালক, হেল্পারদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অটল টিংকারিং ল্যাবের স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে সম্ভব? জানুন...
কিন্তু তারপরেও ওই রাস্তায় চাঁদার জুলুম বন্ধ হয়নি। গাড়ি চালকদের অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শুধু শ্রীরামপুর মেছাদা রাজ্য সড়ক নয় জাতীয় সড়ক ও প্রতিটি রাজ্য সড়কে পুজো কমিটিদের চাঁদার জুলুমবাজী চলছে। দাবি মত চাঁদা না দিলে মিলছে অস্রাব্য গালিগালাজ কোথাও মারধোর আবার কোথাও দীর্ঘক্ষন গাড়ি নিয়ে আটকে থাকতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১১৩২ টি পুজো কমিটি পুজোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে থেকে পাচ্ছে ৬০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই চালু হচ্ছে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল
তারপরেও পূর্ব মেদনীপুর জেলার প্রতিটি রাস্তায় চাঁদার জুলুমবাজিতে নাজেহাল গাড়িচালক থেকে বাইক আরোহী। পুজোর চাঁদা জুলুমবাজীতে, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে! শ্রীকান্ত মাইতি নামে এক ট্রাক চালক জানান, ''পুজোর সময় রাস্তায় বেরিয়ে অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। চেষ্টা করি সব পুজা কমিটিকে কিছু কিছু করে চাঁদা দেওয়ার, কিন্তু দাবিমতো চাঁদা না দিলে বেশিরভাগ পুজো কমিটি গাড়ি আটকে রাখে, অনেক সময় উত্তেজিত হয়ে গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
আমাদেরও মার খেতে হয়। শুধু দুর্গাপূজা নয় এরপরেও রয়েছে কালীপুজো ছাড়াও অন্যান্য পুজো সেখানেও চলে চাঁদার জুলুমবাজি।" যদিও চাঁদার জুলুম রুখতে সচেষ্ট পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ জানিয়েছেন, 'রাস্তায় চাঁদার জুলুমের অভিযোগ পেলেই, পুলিশ সচেষ্ট চাঁদার জুলুম আটকাতে।'
Saikat Shee