এবছর তার অন্যথা হল না। পরপর দু'বছর করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলে এ বছর মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা।নন্দকুমারের ঠেকুয়াচক এলাকার কুমোর পাড়ায় কালীপুজো উপলক্ষে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত অন্য মাটির জিনিসের পাশাপাশি মাটির প্রদীপ তৈরি করতে। এই পাড়ার মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান সময়ে আবারও আস্তে আস্তে রকমারি আলোর পাশাপাশি জায়গা পাচ্ছে মাটির প্রদীপ। তাই চাহিদা বাড়ছে মাটির প্রদীপের। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুন: তেলই তুলবে তেলকালি! রইল রান্নাঘরের এগজস্ট ফ্যান সাফাইয়ের সহজ টিপস
মাটির আকাল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মাটির প্রদীপের চাহিদা বাড়লেও মাটির প্রদীপ বিক্রি করে সেভাবে আয় হচ্ছে না। তবুও বংশপরম্পরায় মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছে তাঁরা। স্বপন পাল নামে এক মৃৎশিল্পী জানান, 'মাটির প্রদীপের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে কালীপুজো উপলক্ষে। কিন্তু মাটির আকাল ও জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে পেট চালানো কঠিন। তবুও বংশপরম্পরায় এই পেশায় আছি তাই কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপ তৈরি করছি।'
আরও পড়ুন: বিরাট আশঙ্কা! কালীপুজো এবার তছনছ হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, জারি হচ্ছে বড় নিষেধাজ্ঞা
আজও বাঙালির ঘরে ঘরে রকমারি আলোর পাশাপাশি মাটির প্রদীপ দেওয়ার চল দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোর দিন। ফলে বাজার রকমারি আলোতে ভরে গেলেও এর পাশাপাশি মাটির প্রদীপের চাহিদা কালীপুজো উপলক্ষে। মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত কুমোরপাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।
সৈকত শী