বিরাট আশঙ্কা! কালীপুজো এবার তছনছ হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, জারি হচ্ছে বড় নিষেধাজ্ঞা

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে, আগামী সপ্তাহে শুরুতেই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে তৈরি নিম্নচাপের কোনও প্রভাব কি বাংলায় পড়বে? কালীপুজো-দিওয়ালির সময় এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ২২ অক্টোবর শনিবার। সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্নচাপ। ওড়িশা উপকূল ছুঁয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উপকূলের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে অনুমান আবহবিদদের। আগামী কয়েক দিন উত্তর-পশ্চিম হাওয়া এবং শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে রাজ্যে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ। শনিবার নাগাদ তা গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে পারে। দীপাবলিতে বৃষ্টির যতই সম্ভাবনা তৈরি হোক, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই শনিবার পর্যন্ত। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা সোম ও মঙ্গলবারে। উপকূলে বইতে পারে দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, বলেছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের কথা ভেবে নির্দেশিকা জারি করেছে মৎস্য দফতরও। সমুদ্র উত্তল থাকবে বলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ জারি করেছে দফতর।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ আর এই নিম্নচাপ পরবর্তী সময়ে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই কারণে উত্তাল হবে নদী ও সমুদ্র। শনিবারের মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য দফতর।

শনিবারের পর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যজীবী ইউনিয়নগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের অধীনস্থ সমস্ত ট্রলারকে সময়ের মধ্যে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (ছবি সব প্রতীকী)