#দিঘা: চলচ্চিত্রের মতো তাড়াতাড়ি দৃশ্যপট পরিবর্তন হল সৈকত নগরী দিঘার। এবার পর্যটন কেন্দ্র দীঘায় করোনার থাবা পড়ল (Digha Corona Fear)। বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণ উপলক্ষ্যে পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় লক্ষাধিক লোকের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সমুদ্র সৈকত নগরীতে। খুব তাড়াতাড়ি দৃশ্যপট পাল্টে ছবিটা সম্পূর্ন ভিন্ন। পুরানো স্মৃতি ফের ফিরে আসায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে দিঘা পর্যটন কেন্দ্র সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। দিঘায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আট। করোনার থাবা পড়ল দিঘা রাজ্য সাধারন হাসপাতালে। করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
advertisement
করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যজুড়ে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেইমতো বন্ধ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সৈকত নগরী দিঘা (Digha Corona Fear)। দিঘার সৈকত সমুদ্র বর্তমানে জনমানব শূন্যপুরী। সমুদ্র সৈকত জুড়ে মরুভূমির নিস্তব্ধতা। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় হোটেলকর্মীদের ছুটি দিয়েছে হোটেল মালিকেরা। জনমানবশূন্য সমুদ্র সৈকতে প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলছে। সমুদ্র সৈকত শহর দিঘা পর্যটন কেন্দ্রকে করোনার থাবা থেকে বাঁচাতে, প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো ছিল। কিন্তু এবার সেই দিঘায় করোনার থাবা এসে পড়ল। দিঘায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আট, রামনগর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এইদিন করোনা আক্রান্তের বাড়ি বাড়ি যান রামনগর ১ ব্লক আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায়, সঙ্গে দিঘা থানা ও দিঘা মোহনা থানার ওসি।
এইদিন আক্রান্তের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের হাতে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়। আধিকারিক জানান, "এই মুহুর্তে ব্লকে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। তার মধ্যে দিঘা সমুদ্র সৈকত শহর এলাকায় ৭ জন। এদিন তাদের বাড়ি বাড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাওয়া হয়। করোনা আক্রান্তের পাশে প্রশাসন সর্বদা রয়েছে, বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ"। প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন করা যায় কিনা, সেই নিয়েও ভাবা হচ্ছে বলে জানা যায় ব্লক প্রশাসন সূত্রে (Digha Corona Fear)।
দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর বাকি চিকিৎসক ও হাসপাতালের নার্স এবং কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রথমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে (Digha Corona Fear)। আরও জানা যায়, দু'একদিনের মধ্যে গোটা হাসপাতাল স্যানিটাইজ করা হবে। বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে দিঘায় লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা আতঙ্কে দিঘার হোটেল কর্মী ও ব্যবসায়ীদার থেকে সাধারণ মানুষেরা। দিঘায় করোনার থাবা পড়ায় উসকে দিচ্ছে প্রথম লকডাউন এর স্মৃতি।
Saikat Shee