শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলায় শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে, রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় বেড়েছে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে কারণে গরমের ছুটিতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে দিঘায়। শুধু দিঘা নয় সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমনি শংকরপুর তাজপুর সবেতেই কমেছে পর্যটকের আনাগোনা।
advertisement
আরও পড়ুন: পালকে বিষ! এই পাখির কাছে গেলেই মৃত্যু! মানুষ মারার বিষ নিয়ে উড়ছে বিষাক্ত পাখি!
একদিকে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে দিঘায় কার্যত ফাঁকা সমুদ্র সৈকত। স্কুলে স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়েছে। প্রতিটি ছুটির দিনে দিঘায় সমুদ্র সৈকত জনমুখর হয়ে ওঠে এবারে তার যেন ব্যতিক্রমী চিত্র ফুটে উঠল। প্রখর রোদ ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে পর্যটকেরা দিঘা বিমুখ। সপ্তাহ শেষে কিছু পর্যটকে দেখা পাওয়া গেলেও অন্যান্য দিন পর্যটকের দেখা নেই দিঘায়। হলে সমস্যায় পড়েছেন দিঘায় ব্যবসায়ীরা। দিঘার সৈকত সরণীর ধারে এক দোকানদার জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় এলেই তাদের মনে আতঙ্ক গ্রাস করে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই দিঘা পর্যটক কম আসে। এবছর গরমও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে সেভাবে পর্যটকেরা আসেননি, শেষবার ঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যটকের অভাবে বিক্রি বাটা কম তার ওপর আবার ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস!’
আরও পড়ুন: রান্না ঘরেই টাটকা থাকবে কাঁচালঙ্কা! প্রায় দু’মাস ধরে রেখে খাওয়া যাবে! জানতে হবে এই সহজ পদ্ধতি!
এ বিষয়ে দিঘা শংকরপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানান, দিঘায় গরমের ছুটিতে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। সপ্তাহ শেষে শনি রবিবার বাদেও সপ্তাহের মাঝে সরকারি ছুটির দিনগুলিতে দিঘায় পর্যটকেরা আসতেন। কিন্তু এবার শনি রবিবার কিছু পর্যটকের দেখা মিললেও সপ্তাহের অন্যান্য দিন পর্যটকেরা দিঘায় আসছেন না। অন্যদিকে পূর্বমেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বিগত আমফান ও ইয়াসের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকেই মোকা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত।
Saikat Shee