এহেন মহান ব্যক্তিত্বকে বর্তমানে ভুলতে বসেছে অবিভক্ত মেদিনীপুর তথা কাঁথির মানুষজন। তাঁর জন্মভিটে বাসগৃহ চূড়ান্ত অবহেলিত। মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পরগনার চন্ডি ভেটিতে ১৮৮১ সালে ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯০০ সালে এন্ট্রান্স পাস করার পর কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। ১৯০৪ সালে বিলেত থেকে ব্যারিস্টারী পাশ কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জেলার হস্তশিল্পের প্রসার ও বিকাশে কারু ও হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা
বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এর নেতৃত্বে ইউনিয়ন বোর্ড প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল। এই আন্দোলনে বীরেন্দ্রনাথ প্রতিজ্ঞা প্রতিজ্ঞা করে জানালেন যতদিন না তিনি ইউনিয়ন বোর্ড তুলতে পারবেন, ততদিন পর্যন্ত তিনি খালি পায়ে ঘুরে বেড়াবেন। ১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের যুবরাজ ভারত বর্ষ পরিভ্রমনে এলে কংগ্রেসের বঙ্গীয় সম্পাদক হিসেবে কলকাতায় হরতাল সংগঠিত করেন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল। তাঁর তেজস্বিতার কারণেই ইংরেজ সরকার ব্ল্যাক বুল (Black Bull) বলত।
আরও পড়ুনঃ কালী পূজার রাতে বিশেষ পূজা অর্চনা ও প্রদীপ দান বর্গভীমা মন্দিরে
১৯২৩ সালে জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন মামলায় তিনি স্বদেশীদের পাশে দাঁড়িয়ে মামলা লড়েছিলেন হাইকোর্টে। ৫৩ বছর বয়সে ২৪ নভেম্বর ১৯৩৪ -এ সালে মারা যান তিনি। কাঁথি মহাকুমার কাঁথি ২ ব্লক দেশপ্রাণ নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি রাস্তা দেশপ্রাণ নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। মানুষ ভুলতে বসেছে, এই মহান মানুষটিকে। দেশপ্রাণ ব্লকের চন্ডীভেটিতে তাঁর বাসগৃহ বর্তমানে ভগ্নপ্রায়, কোনরূপ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ফলে সমস্ত এলাকা ঝোপঝাড় ঘনজঙ্গলে ভর্তি।
Saikat Shee