চন্দ্রমল্লিকা চাষে এক নম্বরে রয়েছে পাঁশকুড়া। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, জানাবার উত্তরপলসা, দোকান্ডা সহ একাধিক এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবে চন্দ্রমল্লিকা চাষ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। কখনও হলুদ চন্দ্রমল্লিকা কখনও জিরাট বা সাদা মল্লিকা চাষ করে থাকে চাষিরা। তবে শুধু জল বা সার দিয়ে এই ফুলের চাষ হয় না তার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিদ্যুতের মাধ্যমে ল্যাম্প জ্বেলেএই চারা গাছকে বড় করে তোলা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আইসিডিএস কেন্দ্রে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী! এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
সঠিক সময়ে গাছের পরিমাণ মতো বৃদ্ধির জন্যই বিদ্যুতের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। চাষিরা সঠিক সময় চন্দ্রমল্লিকা চাষের জমিতে রাতের বেলায় একাধিক ল্যাম্প জ্বেলে চন্দ্রমল্লিকা গাছ ধীরে ধীরে বড় করে তোলে। এই চাষের পিছনে বিঘা প্রতি প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা করে ব্যয় করেন চাষিরা। ফুল ফোটার পর এই চন্দ্রমল্লিকা দূরদূরান্ত দেশে রপ্তানি করা হয়। সেখানে চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ পেয়ে থাকে। প্রতি বছর তাই পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ব্যাপক পরিমাণে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়।
আরও পড়ুনঃ ৪৬২ বছরের পুরনো রাস মেলার প্রস্তুতি ময়নাগড়ে
যে কারণে একপ্রকার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। মল্লিকা চাষে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাতে ইলেকট্রিক বিলও দিতে হয় চাষীদের। বিশেষভাবে সাদা রংয়ের বাল্ব জ্বলতে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ চাষের জমিতে। রাতের সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় এ যেন এক চাষের মেলা। এই পদ্ধতিতে চাষ করে লাভজনক হচ্ছে বলে জানান পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকার চন্দ্রমল্লিকা চাষের সঙ্গে যুক্ত ফুল চাষীরা
Saikat Shee