কালিদহ ও মাকড়দহ দিয়ে ঘেরা ময়না গড়ের রাজপরিবারের গোবর্ধন বাহুবলীন্দ্র ১৫৬১ সালে কালীদহের তীরে কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দিরে প্রথম রাসমেলা শুরু করেন। সেই থেকে বাহুবলীন্দ্র পরিবারের উদ্যোগে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ১৯৭০ সাল থেকে স্থানীয় মেলা কমিটির উদ্যোগে মেলা হয়ে আসছে। ২০১২ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঠিত হয় ময়না রাস মেলা কমিটি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রূপনারায়ণের ভাঙন থেকে শহরকে বাঁচাতে তৎপর পৌর প্রশাসন
রাস উৎসবে পরম্পরা ধর্মীয় আচার অনুযায়ী ১৭ কার্তিকের শুক্লপক্ষের উত্থান একাদশীর তারিখ (ইং ৪ নভেম্বর) থেকে পরপর আট দিন শ্রী শ্রী শ্যাম সুন্দর জিউ রাজবাড়ীর মূল মন্দির থেকে নৌকা বিহারে কালীদহের ৫০০ মিটার লাবণ্যময় জল পরিক্রমণ করে ময়না রাস মন্দিরে প্রবেশ করবে। কেবল মাত্র পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যা ছয়টার সময় রাজবাড়ীর কুল দেবতা শ্যাম সুন্দর জিউ ফিরে যাবেন মূল মন্দিরে। শেষ রাস যাত্রা ১১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ঢাক ঢোল কীর্তন, আতশবাজি, বাতাসা লুট সহযোগে রাস মন্দির থেকে নৌকা বিহারে রাজবাড়ী মূল মন্দিরে প্রত্যাবর্তন হবে।
আরও পড়ুনঃ নড়বড়ে কাঠের সেতু! আতঙ্কে এলাকাবাসী
ঠাকুরের নৌকা বিহার বন্ধ হলেও মেলা চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ময়নার রাস মেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মত বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মতো কদমা মিষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম রাস মেলা শুধু ময়নাবাসী নয়, জেলার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকেরাও সারা বছরের এইকটা দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন মেলা ময়নাগড়ের রাস মেলা পরপর দু'বছর করোনা কাল কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে। চলছে তারই প্রস্তুতি।
Saikat Shee