জাকজমক সহকারে শতাধিক ঘোড়া, হাতি, ঢাকি নিয়ে পুজো করেন তিনি। তারপর থেকেই তকিপুরের কালীর সমাদর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রান্তে। তিনি জানতে পারেন, একসময় ডাকাতরা সেই কালীর পুজো করত। পরে, কোনও অজ্ঞাতকারণে সেই কালীর আর রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। পরবর্তী কালে রাজা পুজোর ভার দয়ে যান স্থানীয় সেবাইত সরকার বাড়ির সদস্য। চার পুরুষ ধরে তারাই এখনও চালাচ্ছেন এই বড়ো মা কালীর পুজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র! জৌলুস হারাচ্ছে গোঁসাইরহাটের পাখিরালয়
পুজো কমিটি অর্থাৎ সরকার বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, ৫০০ বছরের পুরনো এই কালীর ইতিহাস আজও তাঁরা বহন করে চলেছেন সমানভাবে। আজও এখানে রয়েছে বেগার প্রথা। মাত্র এক টাকার বিনিময় ১০০ জনেরও বেশি কর্মী গড়েন কালীর মূর্তি। আগে, এই পুজোয় হত নরবলি। তবে, আজও বলি প্রথা উঠে যায়নি। ছাগল, ভেড়া এবং একটি মহিষ শাবক উৎসর্গ করা হয় এই ‘ডাকাত’ কালীর কাছে। এছাড়াও অনেকে মানসিক করে ছাগল ও ভেড়া উৎসর্গ করেন।
আরও পড়ুনঃ দামী গাড়িতে করে চোলাই মদ পাচার! গ্রেফতার দুই
প্রতি বছর শতাধিক বলি হয় এই পুজোয়। এই কালীপুজোকে কেন্দ্র করে শুধুই তকিপুর নয়, আশপাশে চোঁয়াড়ি, ভোঁতা, বিল্লগ্রামের মানুষও মেতে ওঠেন উৎসবে। চার দিন ব্যাপী ধরে চলে মেলা, কবিগান, বিচিত্রা অনুষ্ঠান, কাঙালি ভোজন। তবে, করোনা কালে এই জাঁকজমকে কিছুটা ভাঁটা পড়েছিল। তবে এবছর ফের কালী পুজো হবে জাকজমোক সহকারেই।
Malobika Biswas