অভিভাবকরা জানাচ্ছেন ঠিক মতো শিক্ষক না থাকার ফলে সায়েন্স গ্রুপের কিছুই শিখতে পারছে না স্কুলের ছাত্রীরা এমনকি অধিকাংশ দিনই শিক্ষক না থাকার কারণে অধিকাংশ বিষয়ের ক্লাসই হয় না । পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের সাবিত্রী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ২৪ জন শিক্ষক ছিলেন, ২০২১-এর পর থেকে মেডিকেল গ্রাউন্ডে ট্রান্সফার নিয়ে তাঁরা অন্যত্র বদলি হয়ে গিয়েছেন। যার ফলে ৮০০-এর উপর পড়ুয়ার জন্য মাত্র সাত জন স্থায়ী শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুলের পঠন পাঠন।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
আরও পড়ুন: শহরে অ্যাডিনো-আতঙ্ক! জ্বর হলেই বাচ্চাকে উল্টোপাল্টা ওষুধ নয়, আগে দেখে নিন পুরসভা কী বলছে
সায়েন্স গ্রুপের কোন বিষয়ের টিচার নেই, আর সেই কারণেই স্কুলের ক্লাস নেন ক্লার্ক! কার্যত শিক্ষকের অভাবে এই ভাবেই পঠন পাঠন চলছে বিদ্যালয়ে। এমন কী ডি গ্রুপের স্টাফ না থাকায় নিজেদের ক্লাসরুম রুটিন মাফিক ছাত্রীরাই পরিষ্কার করে।এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী পাল জানান, ‘‘২০২১ সালে উৎসশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার দৌলতে স্কুলে ১৭টি পোস্ট ফাঁকা, যে জায়গায় থাকা দরকার ২৪ জনের। উনি বলেন বর্তমানে ওঁকে নিয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৭ জন । যার মধ্যে আবার একজন সামনের জুন মাসে অবসর নেবেন। শিক্ষক না থাকার কারণে মাঝে মাঝে পড়ুয়াদের ক্লাস অফ যায়, এতে কিছু করার নেই বলে দাবী করেন তিনি।’’ এ ছাড়াও তিনি জানান যে একটাও গ্রুপ ডি কর্মী না থাকায় ঘর খোলার দিকটাও পড়ুয়াদেরই ভাবতে হবে ।
প্রসঙ্গত এই বিষয়ে স্কুলের ক্লার্ক সুমন্ত সাহা জানান, ‘‘স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক ট্রান্সফার নিয়ে চলে গিয়েছেন। এমত অবস্থায় যেহেতু আমি অঙ্কে অনার্স, তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অনুরোধে আমি অঙ্কের ক্লাস নিয়ে থাকি।’
আর একটি বিষয় সামনে আসছে যে, ডি গ্রুপেরও কর্মী না থাকায় স্কুল রুটিন মাফিক পরিষ্কার করতে হচ্ছে ছাত্রীদেরই। এছাড়াও সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় দিন স্কুল এ ক্লাস না হওয়ার কারণে আশঙ্কায় রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও।