ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি, কাশি জ্বর নতুন কিছু নয়। কিন্তু, করোনার পর থেকে আমরা এই দীর্ঘদিনের চেনা অসুখগুলো নিয়েও যেন ভয় পেতে শুরু করেছি। সম্প্রতি, যা শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডেনোভাইরাস। (ছবি: প্রতীকী)
কোনও শিশু তার জীবনের প্রথম ১০ বছরের মধ্যে কখনও না কখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আর তাতেই তার শরীরে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। কিন্তু, সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনে এই অ্যাডেনোভাইরাসই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। (ছবি: প্রতীকী)
কলকাতার শিশু হাসপাতালে অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। সূত্রের খবর, আইসিইউ-তেও ভর্তি করতে হয়েছে অনেককে। (ছবি: প্রতীকী)
কিন্তু, কী করে বুঝবেন যে আপনার বাচ্চার শরীরে অ্যাডেনোভাইরাস বাসা বেঁধেছে?(ছবি: প্রতীকী)
আপনার বাচ্চার কি হঠাৎ করেই ধুম জ্বর এসেছে। অনেক চেষ্টা করেও জ্বর নামানো যাচ্ছে না? সঙ্গে নাক দিয়ে কাঁচা জল গড়াচ্ছে, কিংবা, দমকে দমকে কাশি? সাধারণ ঠান্ডা লেগেছে বলে এক সেকেন্ডও ফেলে রাখবেন না কিন্তু। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান ডাক্তারের কাছে। (ছবি: প্রতীকী)
জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা সাধারণ উপসর্গ মনে হলেও, অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনার বাচ্চার শরীরে এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সঙ্গে হাত কিংবা পায়ের পাতায় দেখা দিতে পারে লাল গুটি গুটি র্যাশ।(ছবি: প্রতীকী)
এছাড়া, 'পিঙ্ক আই' বা লাল চোখ এই অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ। (ছবি: প্রতীকী)
বড়দের ক্ষেত্রে অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ৩ থেকে ১০ দিন পরে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। তবে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক আগেই দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ। পেট খারাপের সঙ্গে থাকতে পারে পেট ব্যথাও। সঙ্গে বমি। এছাড়়া, সংক্রমণ সেরে যাওয়ার ১০-১৫ দিন পরেও থেকে যেতে পারে দুর্বলতা। (ছবি: প্রতীকী)
কেউ অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, জানতে তার রক্ত পরীক্ষা, চোখ-নাক-গলার সোয়াব টেস্ট, পায়খানা পরীক্ষা এবং বুকের এক্স-রে করা হয়ে থাকে।(ছবি: প্রতীকী)
অ্যাডেনোভাইরাস সাধারণত, চোখ, কান,শ্বাসনালী, ফুসফুস, খাদ্যনালী এমনকি স্নায়ুতন্ত্রেও সংক্রমণ ছড়ায়। তাই চিকিৎসা করতে দেরি হলে, ফুসফুস এবং শ্বাসযন্ত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। আর চিকিৎসা না করালে হতে পারে মৃত্যুও।(ছবি: প্রতীকী)
সব বয়সের মানুষকে এই ভাইরাস আক্রমণ করলেও ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি বাচ্চারা এই ভাইরাসে বেশি করে আক্রান্ত হয়। তাই, যে সমস্ত বাচ্চার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তার দিকে বেশি নজর দিতে বলছেন চিকিৎকেরা।(ছবি: প্রতীকী)
সামান্য সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে কিছু করতে যাবেন না। বাচ্চাকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখুন। অর্থাৎ, নিয়মিত সময় অন্তর ORS-এর মতো কোনও পানীয় খাওয়ান। সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধও চলুক।(ছবি: প্রতীকী)
অ্যাডেনোভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা অভ্যাসে ফিরিয়ে আনুন। বিশেষ করে আপনার বাচ্চা যদি স্কুলে যায়, তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্ক পরাবেন। কারণ, স্কুল থেকেও অনেক সময় সংক্রমিত হতে পারে সে। (ছবি: প্রতীকী)
পাশাপাশি, ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাওয়ারও অভ্যাস তৈরি করুন বাচ্চার মধ্যে। হাঁচি, বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখতে বলুন। আর কাউকে অসুস্থ মনে হলে, বলবেন, সে যেন কখনওই তার ধারেকাছে না যায়। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকুন। (ছবি: প্রতীকী)