ইন্দ্রনাথ ওরফে পাঁচু ঠাকুর ১৮৭৮ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেছিলেন 'পঞ্চানন্দ' পত্রিকা। বাংলা রস সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাহিত্যকর্মের কিছু নিদর্শন হল 'কল্পতরু', 'ক্ষুদিরাম', 'ভারত উদ্ধার' ইত্যাদি। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাকি তাঁর রচনার প্রশংসা করেছিলেন। সেই ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামে। স্থানীয়দের কাছে যে বাড়ির আজও 'বাবুদের বাড়ি' হিসেবে পরিচিত। ১৯১১ সালে ৬২ বছর বয়সে প্রয়াত হন ইন্দ্রনাথ। তাঁর প্রয়াণের পর ১১২ বছর পেরিয়ে গেলেও পৈতৃক বাড়িটি আজও একইরকম আছে। সে বহন করে আসছে ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক ঐতিহ্য ও জমিদারির ইতিকথাকে। এই বাড়ির ঠাকুর দালানজুড়ে বেলজিয়াম কাচের অনন্য কারুকাজ করা, যা গেলেই সকলের চোখে পড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন: লোক আদালতের শুনানিতে নজির পূর্ব মেদিনীপুরের, একদিনে উঠল ১৪ হাজারের বেশি মামলা!
রস সাহিত্যিক ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠাকুর দালানে আজও ধুমধাম করে পালিত হয় দুর্গাপুজো। সেইসঙ্গে কার্তিক, সরস্বতীর আরাধনাও হয়। মহা ধুমধাম করে দোল পালোনও হয়। দুর্গা পুজোয় এই বাড়িতে আজও কয়েকশো মানুষের পাঁচ পড়ে। শোনা যায় এই জমিদার বাড়ির দুর্গা ও জগদ্ধাত্রী পুজো নাকি কয়েকশো বছরের পুরনো। বর্তমানে ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরিরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও এই জমিদার বাড়ির রক্ষনাবেক্ষণ ও পুজো পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। তারাই সবকিছু সামলায়।