তাঁরা মূলত খোরদোপলাশি , কাঠালডাঙা ও বাগকালাপাহাড় গ্রামের বাসিন্দা। অন্যান দিনের মতো এদিনও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়। বেলা ১০টার মধ্যে রান্না শেষ হলে শিশু ও গর্ভবতীদের কেউ থালা কেউ বাটিতে করে সেই খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ঘরে বসে খিচুড়ি খেতে গিয়ে এক শিশুর অভিভাবকদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া গরম খিচুড়ির মধ্যে একটি 'মরা সাপের বাচ্চা’ রয়েছে। এমনটা দেখেই ওই শিশু ও তাঁর পরিবারের লোকজন আঁতকে ওঠেন। তাঁরা ছুটে গিয়ে গ্রামের অন্য শিশুর পরিবার ও গর্ভবতীদের বিষয়টি জানান। খিচুড়ি না খাওয়ার জন্যে তাঁদের বলেন।
advertisement
ততক্ষণে যে যে শিশুরা খুচুড়ি খেয়ে ফেলেছিল তাঁদের অভিভাবকরা ঘটনার কথা জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ভয়ে আতঙ্কে শিশুরা শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করা শুরু করলে দুপুরে তাঁদের জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা শিশুদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে বেশ কিছু সময় তাদের অবজারভেশনে রাখেন। বেশ কিছুক্ষণ অবজারভেশনে রেখে তাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ভূমি দপ্তরের পাশাপাশি ব্লক, মহকুমা, জেলা সদর দপ্তরে চালু হল হেল্প ডেস্ক
জামালপুর হাসপাতাল বিএমওএইচ ঋত্বিক ঘোষ বলেন, শিশুদের তেমন কোন অসুস্থতা দেখা যায় নি। তবুও ছয় শিশুকে বেশ কিছুটি সময় অবজারভেশনে রেখে পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এতবড় ঘটনা ঘটলেও জামালপুর ব্লকের সিডিপিও সুশোভন রায় মুখে কার্যত কুলুপ আঁটেন ।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি মিডিয়াম পরিচালিত বেসরকারি স্কুল উদ্বোধন কাটোয়ায়
তিনি শুধু সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার প্রেচেষ্টা চালিয়ে যান। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মহকুমাশাসক কথা বলেছেন। তাঁর কাছ থেকে একটা রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে পেশ করা হবে।
Malobika Biswas





