তবে কেন হারিয়ে গেল এই শিল্প? এই বিষয়ে শ্যামল ভকত নামে এক শিল্পী জানান,একটা কম্বল তৈরি করতে যে কস্টিং পড়বে, যে লেবার চার্জ পড়বে তাতে সেটা সাধারণ মানুষের কেনার বাইরে পড়ে যাচ্ছে। একটা কম্বল করতে গেলে হাজার বারো’শ টাকা পড়বে। ওই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না। কম্বলের মার্কেটটা কমে যাবে। কিন্তু আসনের বাজার এখনও রয়েছে। যেকোনও অনুষ্ঠান তা সে শ্রাদ্ধই হোক বা বিয়েবাড়ি, সব জায়গাতেই দরকার হয় কম্বল আসনের। ফলে বাজারের চাহিদা মেনে শিল্পীরা বন্ধ করেছেন শীতের কম্বল। আসনের কাজ করে একদিনেই পয়সা পেয়ে যাচ্ছেন তারা। সেই জায়গায় একটা কম্বলের কাজ করে ১৫ দিনে টাকা পাচ্ছেন। সেই ১৫ দিন সে কি খাবে সেটা ভাবতে হচ্ছে। তাই কম্বল শিল্পীরা বিবর্তিত হতে হতে আজ আসনে টিকেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকায় শুরু, ৪৫ দিনে রোজগার বেড়ে ১৫০০০! সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কী আইডিয়া পেয়েছিলেন মৌমিতা, জানুন…
আগে যখন কম্বল তৈরি হত তখন বাইরে বিভিন্ন জায়গায় তা যেত। কম্বল হল শুদ্ধ জিনিস তাই গ্রামবাসীদের মধ্যেও কম্বলের ব্যবহার ছিল। তবে বর্তমানে মার্কেটে এখন অন্য ধরনের কম্বল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যে কম্বল তৈরি হচ্ছে তার দামও অনেক কম । তাই এখন হাতে তৈরি কম্বলের চল আর নেই। শিল্পী শ্যামল ভকত আক্ষেপের সুরে বলেন সরকারি সহযোগিতা পাওয়া গেলে আজ এই শিল্পের এই দুর্দশা হত না।
আরও পড়ুন: নিজের বাড়ি আপনিও সাজিয়ে তুলতে পারেন এইভাবে, দেখুন পুরোটা
একটি বেসরকারি সংস্থা শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল একবার , এবং একটা কারখানা খোলা হয়েছিল। কারখানার মধ্যে কম্বলও বেশ ভালোই তৈরি হত। তবে বর্তমানে সেই কারখানা এখন বন্ধ। এছাড়াও ছিল পাটুলি কম্বল শিল্প সমিতি। সেটাও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন কম্বল ছেড়ে আসন তৈরি করেই দিন যাপন করতে হচ্ছে শিল্পীদের । বর্তমানে তারা আসন নিয়েই বেঁচে আছেন ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী