পূর্ব বর্ধমান জেলার গঞ্জ বৈকুন্টপুরে রাজদীপ রায় নামে ওই শিশুটি ঠাকুমা দাদুর সঙ্গে থাকে। অভাবের সংসারে দিন আনা দিন খাওয়া দাদু ঠাকুমা কোনরকমে নাতির মুখে অন্ন টুকু জোগান। তার উপর যদি পড়াশুনোর খরচ চালাতে হয় তাহলে সংসার চালানো গায়ে হয়ে পড়বে। তাই ওই গ্রামেরই এক সদস্যের কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার পরই অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যরা পাশে দাঁড়ালেন ওই পরিবারের। রাজদীপের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আবারও বর্ধমান থানার বড় সাফল্য, চুরি যাওয়া টোটো ফিরিয়ে দিল পুলিশ
এভাবে রাজদীপের পাশে দাঁড়াতে পেরে যেমন খুশি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা, তেমনই খুশি বৈকুন্ঠপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এভাবে সাহায্য পেয়ে উপকৃত অসহায় দাদু ঠাকুমা। বর্ধমান কার ড্রাইভার্স এন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা বলেন, আপাতত রাজদীপকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মাধ্যমিক পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া হল। এরপর অর্থাৎ মাধ্যমিকের পর যদি আজকে উচ্চশিক্ষিত হতে চায় তাহলে সে দায়িত্বও তারা নেবেন।
আরও পড়ুনঃ দুঃস্থদের নিয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
স্থানীয়রাও যদি এই বাচ্চার একটু দায়িত্ব নেই সেই অনুরোধ করব। এদিকে রাজদীপের দাদু সদয় রায় বলেন, মাঠে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। কোনরকমে পেটের ভাত টুকু জোটে। নাতিকে পড়াবো ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকবো।
Malobika Biswas