এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু গত দুবছর মহামারীর কারণে মেলা বন্ধ থাকায় এবছর মানুষের ভিড় উপছে পড়ছে পুতুল নাচের আসরের সামনে। এই পুতুল নাচের দলের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা জানান, টাকা পয়সায় কি এসে যায় ? এত মানুষের আমরা যে মনোরঞ্জন করতে পারছি, এটাই আমাদের কাছে অনেক। ভালোবাসা পেয়ে মৃত্যুবরণ করার মত ভাল কাজ কি আর আছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১৫০০ স্কোয়ার মিটার জাতীয় পতাকা নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন!
এসব বলতে বলতেই তাঁদের গলায় ছিল হতাশার সুর। তাঁরা বলেন, ঘরের ছেলেমেয়েরা আর কেউ এই পেশায় আসতে চাইছে না। আমাদের চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পুতুল নাচের দলের কি অবস্থা হবে তা ভবিষ্যতেই জানে। এই পুতুল নাচের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বর্তমানে হকারি, কেউ টেলারিং আবার কেউবা চাষের কাজ করেন। কারণটা হল, এই শিল্পের গুরুত্ব দিন দিন কমছে, কদর কমেছে।
আরও পড়ুনঃ এ কেমন স্কুল! যেখানে আসলে আর বাড়ি যেতেই চায় না ছাত্রছাত্রীরা!
ফলে অনেকেই পুতুল নাচ আর দেখান না। পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, করোনার জেরে দীর্ঘ দু বছর বন্ধ ছিল এই ঐতিহ্যবাহী মহিষমর্দিনীর পুজো। করোনা আবহ কাটিয়ে এবছর ফের হচ্ছে পুজো। দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চার দিনই পুজো হয়। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে বহু দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন দর্শনার্থীরা, বসে এলাকা জুড়ে মেলা। আর সেই মেলাতেই আয়োজন করা হয় পুতুল নাচের। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন মানুষ।
Malobika Biswas