জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের নৈহাটি গ্রামের উত্তরপাড়ায় বাসিন্দা অভিজিৎ। তিন ভাইবোন অভিজাতরা। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের বাবা ছোটন মাঝি কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে বিভোর? ভারতের এই দীর্ঘতম সেতু ধারেভারে অনেক এগিয়ে! জানলে চমকে উঠবেন!
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি গ্রামে যাতায়াতের রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মানের কাজ চলছে। লোহার রডের খাঁচা বেঁধে রাখা হয়েছে । চলাচলের জন্য ঠিক তার পাশেই একটি বাঁশের তৈরি সরু সাঁকো করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের ক্লাবে ক্যারাম খেলার পর সাইকেলে চড়ে ওই সাঁকোর উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিজিৎ। আর তখনই সে টাল সামলাতে না পেরে কালভার্টের জন্য বেঁধে রাখা খাঁচার উপরে পড়ে যায়। একটি বড় লোহার রড তার বাম পায়ের জানুর এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষন ওই অবস্থায় থাকার পর এক গ্রামবাসীর বিষয়টি নজরে পড়ে। তৎক্ষনাৎ তিনি গ্রামে এসে খবর দেন। তারপর রড কেটে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। এরপরই অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বাংলাদেশে মৈত্রী আরও সুদৃঢ়, আলোচনার কেন্দ্রে এখন হলদিয়া বন্দর
চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ কুমার বাড়ি জানিয়েছেন, ঠিক সময়েই ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। একটু দেরি হলেই তার প্রাণহানী হতে পারতো। সুস্থ অভিজিতের মা দিপালীদেবী বলেন, ভেবেছিলাম ছেলেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।অত সামর্থ্য নেই। ছেলেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ধারদেনা করতে হত। কিন্তু কাটোয়া হাসপাতালেই যে এতবড় অপারেশন হবে তা আশা করিনি। কাটোয়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের অসংখ্য ধন্যবাদ ।
---মালবিকা বিশ্বাস