পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে, সাতদিনের মধ্যে প্রত্যেক বাড়ির মালিককে তাঁর বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া ও তাদের সঙ্গে যারা থাকেন, তাদের বিশদ তথ্য বর্ধমান থানায় জমা করতে হবে। নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিলাপ করে বাড়ির মালিককে দিতে বলা হয়েছে। ভাড়াটিয়ার নাম, ঠিকানা, কি করেন, কি কারণে ভাড়া বাড়ি নেওয়া হয়েছে, ফোন নম্বর ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য লিখে বাড়ির মালিককে ওই ফর্ম বর্ধমান থানায় জমা করার কথা বলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- আর নেই আশঙ্কা, কৃষকদের যেকোনও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে মিলছে শস্য বিমা
পুলিশ সূত্রে খবর, আরো কয়েকদিন সময় আছে। সবদিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যে কটি ফর্ম জমা পড়েছে সেইগুলি পরীক্ষা করে দেখেন আই সি সুখময় চক্রবর্তী। বেশ কিছু নির্দেশও দেন অফিসারদের।
আরও পড়ুন- আবর্জনা দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর! কী কাণ্ড বর্ধমানে!
উল্লেখ্য, বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে গেলেও টের পাননি এলাকাবাসী। তার খেসারত দিতে হয়েছে ২০১৪ সালে, খাগড়াগড় এলাকার বাসিন্দাদের। ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল এলাকা। বাড়ি ভাড়া দিয়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে খাগড়াগড়। এরপর ফের চলতি মাসেই পূর্ব মাঠপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে জাল নোট তৈরির কারখানার হদিশ পায় পুলিশ।
ইতিমধ্যেই জাল নোট কাণ্ডে বর্ধমান থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রে আরো কারা জড়িত আছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এক্ষেত্রেও দুষ্কৃতীরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল বাড়িওয়ালাকে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়েই। প্রতিবেশীরাও এক্ষেত্রে টের পাননি তাঁদের পাশেই গোপনে চলেছে জাল নোট তৈরির কারবার। আর এই ঘটনার পরই বর্ধমান জেলা পুলিশ তৎপর হয়েছে। খাগড়াগড় সহ আশপাশের প্রত্যেক ভাড়াটের তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ।
Malobika Biswas