তবে এই জায়গায় গুড় কিনতে হলে আপনাকে কিনতে হবে একটু বেশি পরিমাণে। কমপক্ষে পাঁচ কেজি খেজুর গুড় কিনতে হবে এই জায়গা থেকে। বাজারে যে চলতি দামে খেজুর গুড় পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে ৫০ - ১০০ টাকা কমে পাওয়া যাবে খেজুর গুড়। শীতের সন্ধ্যেই যখন সকলে বাড়ি ফিরে যান, তখন সকাল হয় এই এলাকার শিউলিদের শুরু হয় বেচাকেনা কিন্তু জানেন কি কোথায় রয়েছে এই খেজুর গুড়ের আরত?
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলা নয়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয় বিহার থেকে! ফুটেজে মিলল মারাত্মক দৃশ্য
পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবথেকে বড় নলেন গুড়ের পাইকারি আড়ত রয়েছে হাওড়া – কাটোয়া রেলপথে, পূর্বস্থলীর পাটুলী রেলষ্টেশনের পাশেই। একটা দুটো নয়, ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫টি পাইকারি আড়ত আছে এখানে। বিকালে সূর্যের আলো ডুবলেই এই আড়তগুলোয় শুরু হয় বেচা কেনা। চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। অধিকাংশ শিউলীরা আসেন নদীয়া জেলা থেকে। এছাড়াও দাঁইহাট, বেলেরহাট, জামালপুর, পূর্বস্থলীর শিউলীরা আসেন, তাদের বাড়িতে তৈরী পাটালী গুড় নিয়ে। আবার এই আড়ত থেকেই খুচর ক্রেতারা গুড় কিনে নিয়ে যান বড় প্রতিষ্ঠানে বিক্রীর উদ্যেশ্যে। যার অধিকাংশটাই যায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলী জেলায়। যদিও, এখানে খুচরা দামে গুড় বিক্রী হয়না। তবে কিনতে হবে ৫ কেজির উপরে। বাজারে বিক্রী গুড়ের দামের থেকে, এখানে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কম দামে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: আবাসে 'ঘুঘু' দেখতে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল, সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে বড় ইঙ্গিত! ব্যাপক আলোড়ন
শীত পড়লেই যে লোভনীয় প্রাকৃতিক খাবারের কথা আমাদের মনে পড়ে, সেটা হলো খেজুর রসে তৈরী নলেন গুড়। আবার কেউ কেউ বলেন পাটালি গুড়, ঝোলা গুড়। এই গুড় দিয়ে তৈরী হয় নানা উপাদেয় স্বাদের খাবার। গুড়ের পিঠে পুলি, জয়নগরের মোয়া থেকে শুরু করে নলেনগুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা, কাঁলাকাদ, পায়েস প্রভৃতি তৈরি হয়।
শীত মরশুমে বিভিন্ন বাজারে, বা দোকানে বিক্রী করতে দেখা এই নলেন গুড়। ক্রেতাকেই যাচাই করে নিতে হয় কতটা খাঁটি সেই নলেন গুড়। তাই নলেন গুড়ের নাম শুনলে যদি আপনার জিভে জল আসে, তাহলে একদিন সময় করে ঘুরে আসতে পারেন নলেন গুড়ের এই সাম্রাজ্য থেকে। যেখানে পাবেন অপূর্ব সাধের খেজুর গুড়, তাও আবার কিছুটা কম দামে।