এই প্রসঙ্গে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, “যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন বর্ধমান শহরের মধ্যে সেটা বড় দোকান হোক, ছোট দোকান হোক বা যেমনি তার দোকান হোক তাদের কাছ থেকে একটা কর পৌরসভা দাবি করতেই পারে। তারা রাস্তাঘাট ব্যবহার করেন, ড্রেন ব্যবহার করেন, আলো-জল ব্যবহার করেন এবং সর্বোপরি তাদের বর্জ্য যেটা সেটাও তারা রাস্তার মধ্যে ফেলেন এবং আমরা সেই বর্জ্য পরিষ্কার করি।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ পাট চাষ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা! জানুন
পরেশ চন্দ্র সরকার আরও জানান, “আমরা তাদের সব রকম ব্যবস্থা করে দিই। তাই তাদেরও কর্তব্য এই সবকিছুর বিনিময়ে পৌরসভাকে কিছু কর দেওয়া। যার যেরকম ব্যবসার পরিধি সে ততটুকুই কর দেবেন। সরকারি তরফ থেকে আমরা অ্যাপ্রুভাল পেলেই এই কর চালু করব। আমরা যে টাকা নেব তার পরিবর্তে প্রত্যেককে পৌরসভা থেকে বিল দেওয়া হবে। যদিও এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার কথা শোনার পরেই হতাশ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।”
এই প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী জানান, “ছোট ব্যবসা এই দিয়ে কোন রকমে চলে। ব্যাংকের লোনও থাকে। এইভাবে করেই আমরা চলছি। এতদিন তো এরকম কোনো প্রেসার আসে নাই। আজ ১০ বছর বয়স থেকে ৫৭ বছর বয়স হয়ে গেল এই ভাবেই আমাদের জীবনটা চলছে। ব্যাপারটা হচ্ছে বর্ধমান পৌরসভার ইনকাম বাড়াতে হবে।”
আরও পড়ুন ঃ বাংলা শস্য বিমা করলে লাভ কতটা? কৃষকদের বোঝাচ্ছে নবান্ন
তবে এই বিষয়ে বর্ধমান শহরের বিসি রোডের অন্য এক ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, “আমরা কর দিতে প্রস্তুত কিন্তু তার জন্য পৌরসভাকে আগে ব্যবসার পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে। আমাদের বিসি রোডে কোন বাইক ঢুকতে পারছে না, বাস এই দিকে যাতায়াত করছে না, টোটো ঢোকাও বন্ধ। খদ্দেরদের এখানে আসতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, তাই আমাদের এইদিকে কোনও খদ্দের আসছে না। আগে আমাদের ব্যবসার পরিকাঠামো পৌরসভা ঠিক করুক, আমরা কর দিতে প্রস্তুত আছি।”
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব টেডার্স চেয়ারম্যান বিশ্বেশ্বর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, “ব্যবসায়ীরা কর অবশ্যই দেবেন কিন্তু তার আগে ব্যবসার পরিকাঠামোর দিকে বর্ধমান পৌরসভাকে নজর দিতে হবে। ব্যবসার অবস্থা খুবই শোচনীয়, তাই ব্যবসায়ীরা ‘কর’ তো লোন নিয়ে দেবেনা !”
আরও পড়ুন ঃ লোড নিতে পারছেনা ট্রান্সফরর্মার তাই লাইন বিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষা, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
তিনি আরও বলেন, “সমস্ত বাসকে বর্ধমান শহরে প্রবেশ করাতে হবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। বাসের সমস্যার কারণে বহু মানুষ বর্ধমান শহরে প্রবেশ করতে পারছেন না, আর তাতে বহু অংশে লোকসানের মুখে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।” স্বাভাবিক ভাবে ব্যবসায়ীদেরও এই একই দাবী । তবে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয় তার দিকেই চেয়ে রয়েছেন বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ীরা।
Bonoarilal Chowdhury