এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ, ডঃ দেবাশীষ বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিশ সেন, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, বিডিএর চেয়ারপার্সন কাকলি গুপ্ত তা, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ আরও অনেকে। জানা গিয়েছে, মূলত রোগীদের সুবিধার্থে এই বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- এখনো টনক নড়েনি বাড়ির মালিকদের! ১০টিও ভাড়াটিয়া ফর্ম জমা পড়লো না থানায়!
বৈঠক থেকে উঠে এসেছে যে যে বিষয় গুলি সেগুলি হল, বর্ধমান হাসপাতালে রাধারানী ব্লকটি ভেঙে নতুন আট তলা বিল্ডিং করা হবে। সেখানে নির্মাণ করা হবে মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার হোম। ফলে একই ছাদের তলায় মা ও শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে। এছাড়াও ইমারজেন্সি মেডিসিন-এর উপর এ এম ডি (AMD) করার জন্য চারটি আসন, স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলির পুনরাবৃত্তি এড়াতে, বর্ধমান থানার ও হাসপাতালের সুপারের সহযোগিতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে।
আরও পড়ুন- আর নেই আশঙ্কা, কৃষকদের যেকোনও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে মিলছে শস্য বিমা
হাসপাতাল চত্বরের ভিতর এখনও যে সমস্ত রাস্তা খারাপ অবস্থায় আছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ট্রলিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত রোগীদের অবস্থা সংকটজনক এবং রেফার করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে, তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তায় গ্রিন করিডোর করে রোগীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং কলকাতার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানকার হাসপাতালের বেডেরও ব্যবস্থা করা হবে। যে সমস্ত মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা অঙ্গ দান করতে চান, সেই মৃত ব্যক্তির দেহকেও গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, ১ জুন থেকে অনাময়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য কার্ডিয়লজিস্টের ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস তাঁর বিধায়ক কোটার তহবিল থেকে সিসিটিভি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এর ফলে হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে। সুবিধা পাবেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। এছাড়াও হাসপাতাল সংলগ্ন পুকুরকে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হবে।
Malobika Biswas