হাফিজউদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানার পানাগড় বাজারের বাসিন্দা চন্দন সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বছর খানেকের পরিচয়। চন্দন ভাঙাচোরা সামগ্রীর ব্যবসা করেন। পানাগড় বাজারে রয়েছে তার দোকান। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে তিনি চন্দনের ব্যবসায় চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পুঁজি ঢেলেছিলেন। তারপর প্রথম চার মাসের দু’মাস ১২,০০০ টাকা ও বাকি দু’মাস ১০,০০০ হাজার টাকা করে লভ্যাংশ বাবদ দিয়েছিলেন চন্দন । টাকা আনতে শেখ জুলফিকারে গাড়িতে চড়েই পানাগড়ে যেতেন।’
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'বছর পর পুজোর আগে ছন্দে ফিরছে তাঁত ও বস্ত্র হাট
তিনি আরও বলেন, ’আমার সাথে যাওয়ার সুবাদে ঘটনার বিষয়ে কথা সব জানতো জুলফিকার। শুধু তাইই নয়, সে চন্দনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও গড়ে তুলেছিল। এদিকে মাস চারেক লভ্যাংশ দেওয়ার পর আর টাকা পয়সা দিচ্ছিল না চন্দন । তাই তিনি পুঁজি ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছিল না চন্দন। তখন জুলফিকার টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেবো বলে আশ্বাস দেয়। ইতিমধ্যে ফোন মারফত খবর আসে চন্দন সিং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় আসানসোল আদালতে মামলা করেছে। আর তারপর থেকেই আদালতে জামিন না নিলে যাবজ্জীবন জেল হয়ে যাবে এই ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে তিন দফায় ৩০ হাজার টাকা করে নেয় জুলফিকার ও রিন্টু।
এমনকি গত ১৬ অগাস্ট জামিনের নাম করে বর্ধমান আদালতের একটি হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। হলফনামাটি ইংরাজিতে লেখা থাকায় তার মানে বুঝতে পারেননি তিনি বলে দাবি। পরে জানতে পারেন তাতে লেখা ছিল, চন্দন সিংকে তিনি জরুরি প্রয়োজনে এক লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। নির্ধারিত ১৬ অগাস্ট ২০২২ তারিখে সে ওই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ কালনায়
হাফিজউদ্দিন মিয়ার দাবি, ওই দু’জন মিলে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ অগাস্ট তার কাছ থেকে ১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে । এরই মধ্যে ফের ৪০,০০০ হাজার টাকা দাবি করে রিন্টু। নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করা শেখ রিন্টু তাকে খুনের হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছে বলে অভিযোগ হাফিজউদ্দিন মিয়ার। এই ঘটনার পর এদিন তিনি ভাতার থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Malobika Biswas