TRENDING:

Purba Bardhaman: ফের প্রতারণা! কারাদণ্ড আটকানোর নামে প্রতারণা ভাতারে

Last Updated:

কারাদণ্ড আটকানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানা এলাকায়। হাফিজউদ্দিন মিয়া নামে প্রতারিত ব্যক্তি শেখ জুলফিকার ওরফে শান্ত এবং শেখ রিন্টু নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান : কারাদণ্ড আটকানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানা এলাকায়। হাফিজউদ্দিন মিয়া নামে প্রতারিত ব্যক্তি শেখ জুলফিকার ওরফে শান্ত এবং শেখ রিন্টু নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এনিয়ে ভাতার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, জামিন করে দেওয়ার নামে ওই দু’জন মিলে প্রতিনিয়ত তাঁকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভাতার থানার আইমাপাড়ায় বাড়ি অভিযোগকারী হাফিজউদ্দিন মিয়ার। তিনি চাষবাস করেন। পাশের ঘোলদা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত শেখ জুলফিকার ও শেখ রিন্টু। জুলফিকার নিজস্ব একটি চার চাকার গাড়ি ভাড়ায় খাটান। নিজেই চালান গাড়িটি।
advertisement

হাফিজউদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানার পানাগড় বাজারের বাসিন্দা চন্দন সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বছর খানেকের পরিচয়। চন্দন ভাঙাচোরা সামগ্রীর ব্যবসা করেন। পানাগড় বাজারে রয়েছে তার দোকান। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে তিনি চন্দনের ব্যবসায় চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পুঁজি ঢেলেছিলেন। তারপর প্রথম চার মাসের দু’মাস ১২,০০০ টাকা ও বাকি দু’মাস ১০,০০০ হাজার টাকা করে লভ্যাংশ বাবদ দিয়েছিলেন চন্দন । টাকা আনতে শেখ জুলফিকারে গাড়িতে চড়েই পানাগড়ে যেতেন।’

advertisement

আরও পড়ুনঃ দু'বছর পর পুজোর আগে ছন্দে ফিরছে তাঁত ও বস্ত্র হাট

তিনি আরও বলেন, ’আমার সাথে যাওয়ার সুবাদে ঘটনার বিষয়ে কথা সব জানতো জুলফিকার। শুধু তাইই নয়, সে চন্দনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও গড়ে তুলেছিল। এদিকে মাস চারেক লভ্যাংশ দেওয়ার পর আর টাকা পয়সা দিচ্ছিল না চন্দন । তাই তিনি পুঁজি ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছিল না চন্দন। তখন জুলফিকার টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দেবো বলে আশ্বাস দেয়। ইতিমধ্যে ফোন মারফত খবর আসে চন্দন সিং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় আসানসোল আদালতে মামলা করেছে। আর তারপর থেকেই আদালতে জামিন না নিলে যাবজ্জীবন জেল হয়ে যাবে এই ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে তিন দফায় ৩০ হাজার টাকা করে নেয় জুলফিকার ও রিন্টু।

advertisement

View More

এমনকি গত ১৬ অগাস্ট জামিনের নাম করে বর্ধমান আদালতের একটি হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। হলফনামাটি ইংরাজিতে লেখা থাকায় তার মানে বুঝতে পারেননি তিনি বলে দাবি। পরে জানতে পারেন তাতে লেখা ছিল, চন্দন সিংকে তিনি জরুরি প্রয়োজনে এক লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। নির্ধারিত ১৬ অগাস্ট ২০২২ তারিখে সে ওই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ কালনায়

হাফিজউদ্দিন মিয়ার দাবি, ওই দু’জন মিলে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ অগাস্ট তার কাছ থেকে ১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে । এরই মধ্যে ফের ৪০,০০০ হাজার টাকা দাবি করে রিন্টু। নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করা শেখ রিন্টু তাকে খুনের হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছে বলে অভিযোগ হাফিজউদ্দিন মিয়ার। এই ঘটনার পর এদিন তিনি ভাতার থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Malobika Biswas

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: ফের প্রতারণা! কারাদণ্ড আটকানোর নামে প্রতারণা ভাতারে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল